ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নীতিমালা প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দেশের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর নীতিমালা প্রণয়ন ও মনিটরিং সেল গঠনে সরকার কেন নির্দেশনা দেবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সরকারি নীতিমালা প্রণয়ন ও মনিটরিং সেল গঠন না করে সব স্কুলে পুনঃভর্তি বা সেশন চার্জ আদায়ের উপর তিন মাসের নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারি করে এ আদেশ দেন।
শিক্ষা, আইন, স্বরাষ্ট্র, প্রাইমারি ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে গত ২০ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিন হাইকোর্টে রিট করেন । রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকায় ‘ফ্রি স্টাইলে চলছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই রিটটি দায়ের করা হয়।
প্রত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়ম-নীতিহীন ফ্রি স্টাইলে চলা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে নেয়া হচ্ছে মনগড়া বেতন আর ভর্তি ফি। প্রতিটি স্কুলে বছর বছর দ্বিগুণ হারে ভর্তি ফি আর বেতনের টাকা বাড়ালেও প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে কেউ জানে না। বাংলা মাধ্যম স্কুলে একবার ভর্তি হলে নতুন ক্লাসে নতুনভাবে ভর্তি ফি’র প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি হতে প্রতি বছরই লাগে মোটা অঙ্কের টাকা। স্বল্প বেতনে প্রতি বছর নিয়োগ দেয়া হয় নতুন শিক্ষক, আর পাল্টানো হয় পুরাতন শিক্ষক। ফলে অভিজ্ঞ শিক্ষকের স্বল্পতা কাটে না। গুরুত্ব দেয়া হয় না কোনো অভিভাবকের মতামতকে।
এসব স্কুলে অক্সফোর্ড বা ক্যামব্রিজের কারিকুলাম অনুসরণের কথা বলে নিজের মতো করে সিলেবাস তৈরি করে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। সে কারণে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিশ্ববিদ্যালয়ে মতো প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পায় ওই সব স্কুলের নগণ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা আর রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্ব ব্রিটিশ কাউন্সিলের থাকলেও কর্তৃপক্ষের বেপরোয়া আচরণের দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয় আর শিক্ষা বোর্ড নিতেও রাজি নয়।