প্রধান বিচারপতি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সেক্রেটারি ছিলেন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বর্তমান প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সেক্রেটারি ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রধান বিচারপতি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সেক্রেটারি থাকাকালীন শেখ হাসিনা অনেকবার সুপ্রিমকোর্টে এসে সভা সমাবেশ করে গেছেন। তখন তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কাছে সমাবেশ করার কোনো অনুমতি নিতে হয়নি।’ কিন্তু গত ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে কেনো বাঁধা দেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন এ আইনজীবী। রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার না থাকায় খুন, গুম, হত্যার ঘটনা ঘটছে।’ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীর ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার যদি ক্ষমতায় না আসে তাহলে আপনার সন্ত্রাসী বাহিনীরা আপনাকেও হত্যা করবে।’ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র থাকে না, পুলিশ দিয়ে মানুষ খুন করে।’ সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আইনজীবীদের সমাবেশে কেনো হামলা করা হয়েছে তার জবাব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে।’ একইসঙ্গে আদালত প্রাঙ্গনে আইনজীবীদেরকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ব্যাপারে প্রধান বিচারপতিকে ব্যাবস্থা গ্র্রহণেরও দাবি জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আইনজীবীদের কর্মসূচি চলবে। আর কর্মসূচি শেষ হবে এ সরকারের পতনের মাধ্যমে।’ মানববন্ধনে সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আইনজীবী সমাবেশ করতে না দেওয়ার ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি ইন্ধন যুগিয়েছেন। তাই তিনি দায়ী থাকবেন।’ বিএনপির নির্বাহী পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘সরকারের স্বৈরাচারি হাতকে যিনি শক্তিশালী করছেন, তিনি হলেন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন। তাই আমি তার পদত্যাগ দাবি করছি।’