প্লাস্টিকের তৈজসপত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দাবি
নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিকের তৈরি তৈজসপত্র ভ্যাট-মুক্ত করার দাবি করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)। এ ছাড়া রিসাইক্লিং খাত এবং প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি চপ্পল ও পাদুকার ওপর থেকে ভ্যাট অব্যাহতি চেয়েছে সংগঠনটি।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিপিজিএমইএর কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় ব্যবসায় সংগঠনটির নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, এ এস এম কালাম উদ্দিন, শাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিকের তৈজসপত্রের মধ্যে আছে থালাবাসন, জগ, মগ, বালতি, ময়লার ঝুড়ি, টিফিন ক্যারিয়ার, গ্লাস, বাটি, হাতপাখা ইত্যাদি। এসব পণ্য শহরের বস্তি ও গ্রামের নিম্ন আয়ের মানুষজন হকার ও ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কিনে থাকেন। কিন্তু হকার ও ফেরিওয়ালার কাছ থেকে তো আর ভ্যাট আদায় করা সম্ভব না। তাই এসব সামগ্রী ভ্যাট-মুক্ত রাখার দাবি করছি।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এত দিন রিসাইক্লিং খাত ভ্যাট-মুক্ত সুবিধা পেলেও আগামী অর্থবছরের বাজেটে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তাঘাটের আবর্জনা থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে তা রিসাইক্লিং করে পুনরায় পণ্যসামগ্রী তৈরি করা হয়। এতে পরিবেশদূষণ রোধ হওয়ার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়। সে জন্য রিসাইক্লিং খাতকে ভ্যাট-মুক্ত রাখার দাবি করছি আমরা।’
প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে আগামী দুই বছরের জন্য উৎসে কর অব্যাহতি দাবি করেন বিপিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘প্লাস্টিক হচ্ছে উদীয়মান শিল্প। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। তবে সম্ভাবনাময় এই খাতে সুবিধা দিয়ে প্রধান রপ্তানি পণ্যের একটি করার সুযোগ আছে। এ জন্যই আমরা আগামী দুই বছরের জন্য উৎসে কর মওকুফ চাইছি।’
বাজেট কেমন হয়েছে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভোক্তার দৃষ্টিকোণ থেকে বললে প্রস্তাবিত বাজেট অনেক কাজ করতে হবে। কারণ, অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। তবে আমদানি পর্যায়ে কিছু পণ্যের শুল্ক কমানোর কারণে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে। অবশ্য ভ্যাট একটি সমস্যা। সব পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ ঠিক হয়নি। ভ্যাট যদি কেবল মূল্য সংযোজনের হতো, তবে কারও কোনো সমস্যা হতো না।’