মৎস্য ও প্রাণীসম্পদভিত্তিক তিন দিনব্যাপ শোকেসিং কর্মশালা শুরু
সাইফুর রহমান: মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এটুআই প্রোগ্রাম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে তিনদ দিনব্যাপী “নাগরিকসেবায় উদ্ভাবনী পাইলট-উদ্যোগের পর্যালোচনা এবং শোকেসিং কর্মশালা-২০১৯” অনুষ্ঠিত হয়।
১৪ মে (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
এর আগে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে অনুরূপ ২টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ শোকেসিং কর্মশালার উদ্দেশ্য হচ্ছে-মন্ত্রণালয়ভূক্ত মৎস্য ও পশুসম্পদসংক্রান্ত বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার যাবতীয় তথ্যসেবা খামারীসহ সংশ্লিষ্ট জনগণের দোরগোড়ায় পৌছিয়ে দেয়ার মাধ্যমে আমিষের উৎপাদনবৃদ্ধি করা।
মৎস্য ও পশুসম্পদভিত্তিক দিনব্যাপী ৩য় ইনোভেশন শোকেসিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত
সারাদেশ থেকে নাগরিকসেবামূলক ৩৪টি অনলাইন-অফলাইন আইডিয়া প্রদর্শন করা হয়।
সরকারের ইনোভেশন কর্ম্পরিকল্পনা ২০১৮-১৯ অনুযায়ী তৃতীয়বারের মতো এই শোকেসিং কর্মশালার আয়োজন করলো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এজন্য আজকের কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৪টি প্রস্তাবিত নাগরিকসেবা ও আইডিয়া প্রদর্শন করা হয়। অনলাইন ও অফলাইনবিষয়ক নাগরিক তথ্যসেবাসংক্রান্ত আইডিয়াভিত্তিক ৩৪টি স্টলে বিলবোর্ড আকারে বিভিন্ন মোবাইল ও ওয়েবভিত্তিক এপস এর কার্যক্রমসহ সুবিধাদিও প্রদর্শন করা হয়।
৩৪টি নাগরিকসেবামূলক স্টলের মধ্যে ছিল মৎস্য অধিদফতরের ১২টি, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ১১টি, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৪টি, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩টি, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ১টি, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ১টি ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ১টি এবং মন্ত্রণালয়ের ১টি। প্রতিমন্ত্রী শোকেসিং কর্মশালার উদ্বোধনের পর সবগুলো স্টল ঘুরে-ঘুরে দেখেন এবং তাদের প্রস্তাবিত নাগরিকসেবাসম্পর্কে অবহিত হন।
দুপর্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার দ্বিতীয়পর্বে প্রস্তাবিত ৩৪টি নাগরিকসেবাসংক্রান্ত আইডিয়ার ব্যাপক পর্যালোচনা করা হয় এবং যথাযথ ও বাস্তবোচিত উদ্যোগগুলো ব্যাপারে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ ও মতামত গৃহীত হয়।
এক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে গৃহীত অনলাইন ও অফলাইনভিত্তিক এপসগুলো উদ্ভাবনের পূর্বে মাঠপর্যায়ে পাইলটিং করার পরই তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী ব্যাপক ও সহজলভ্য নাগরিকসেবার জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক একটি ‘কলসেন্টার’ স্থাপনের প্রয়োজনের ওপর জোর দেন। বক্তারা ইতিপূর্বে উদ্ভাবিত এপসগুলোর যথাযথ আপডেটসহ স্বল্পশিক্ষিত জনগণের জন্য ওয়েবভিত্তিক এপের বদলে মোবাইলভিত্তিক এপস উদ্ভাবনের আহবান জানান।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও চিফ ইনোভেশন অফিসার তৌফিকুল আরিফের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ, অরিতিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।