তিন বছর পর তামিমের শতক
তামিম ইকবালের ব্যাটকে তুলনা করা হয় খোলা তলোয়ারের সঙ্গে। বাংলাদেশের এই ড্যাসিং ওপেনার যখন স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন তখন দুনিয়ার বড় বড় বোলারকেও তিনি পাড়ার বোলার বানিয়ে ছাড়েন। ব্যক্তি তামিম যেমনই হোক না কেন তার ব্যাটের ম্যাজাজ সব সময়ই থাকে অনেক চড়া।
কিন্তু শনিবার হাম্বানটোটায় দেখা গেল অন্য এক তামিম। যিনি ধৈর্য্যের প্রতিমূর্তি হয়ে মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে ছিলেন। অনেক সাবধানতার সঙ্গে খেলে আদায় করে নিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ১২৯ বলে করেন ১১২ রান -১০টি চার ও একটি ছক্কা।
তামিম ইকবালই প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান যিনি শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করলেন।
দেশসেরা ওপেনার দুই বছর পর ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। সব শেষ ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারীতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে এর মাঝে বেশ কয়েকটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার। এশিয়া কাপে টানা চার ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
তামিম ইকবালের আগের তিন সেঞ্চুরির চেয়ে এই সেঞ্চুরির স্বাদ ও গন্ধ আলাদা। দলের বিপদের মুহূর্তে অপরিসীম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে তিনি এই সেঞ্চুরিটি করেছেন। মাত্র ৬৩ রানে তিন উইকেট পতনের পর দল যখন মহাবিপদে তখন এক পাশ আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন তামিম। ব্যক্তিগত স্কোরকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি দলকেও টেনে নিয়ে গেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট না হলে ইনিংসটাকে আরও লম্বা করতে পারতেন তিনি। তামিমের অসাধারণ ব্যাটিংয়েই ২৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করেছিল বাংলাদেশ।