প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ গত আসরের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান তাদের তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে এখনও ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি। মঙ্গলবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে পাকিস্তান হারলে তাদের পয়েন্ট যা ছিলো তাই থাকবে। তখন ফাইনালে ওঠার জন্য তাদের অপেক্ষা করতে বাকি ম্যাচগুলোর ওপর।
৫ মার্চ ভারত ও আফগানিস্তানের ম্যাচে বোনাস পয়েন্ট নিয়ে কোনো দল জিততে পারলে তাদের পয়েন্টও হবে পাকিস্তানের সমান। অন্যদিকে স্বাগতিক বাংলাদেশ যদি আজ পাকিস্তান ও পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারে তাহলে বদলে যেতে পারে ফাইনালের হিসাব নিকাশ। সেদিক দিয়ে বুধবার মিরপুরে টাইগারদের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে কিছুটা হলেও চাপে থাকবে মিসবাহ-উল হকের দল।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের মধ্যকার দিন-রাতের ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়। ১২তম এশিয়া কাপে টানা দুই ম্যাচ হারলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় চায় টাইগাররা। শুধু পাকিস্তান নয় নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকেও হারাতে চায় মুশফিকুর রহিমের দল।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সোমবার মিরপুরে কঠোর অনুশীলন করেছে টাইগাররা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারের পর নবাগত আফগানিস্তানের কাছে হেরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে মুশফিকরা। ব্যর্থতা ভুলে সেরা ক্রিকেট খেলেতে প্রস্তুত তারা।
মিরপুরে অনুশীলন শেষে দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সাংবাদিকদের এমন কথাই বলেছেন। তার ভাষায়, ‘আফগানদের কাছে হারের দুঃখ ভুলতে আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে। তা হলো- পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই আমাদের কষ্ট দূর হবে। দলের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের সবাই আমাকে বলেছে, তারা সবাই যার যার জায়গা থেকেই সেরা ক্রিকেট খেলবে। তাছাড়া সাকিব আল হাসান দলে ফেরায় আমাদের শক্তি অনেক বেড়েছে। তাই ভালো ক্রিকেট খেলেই পাকিস্তানকে হারাতে চাই।’
এছাড়া তিনি বলেন, ‘আমরা গত দেড় বছর নিজের মাঠে অনেক বড় বড় দলকে হারিয়েছি। আমার বিশ্বাস দলের সবাই নিজের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে পাকিস্তানকেও হারানো কঠিন কিছু নয়।’
আগের দিন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে সোমবার হোটেলেই বিশ্রাম করেছে পাকবাহিনী। তবে ভারতকে হারানোর পর পাক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা জানি স্বাগতিকরা নিজের মাঠে কতটা শক্ত দল। তার প্রমাণ গত এশিয়া কাপে আমাদের কাছে রয়েছে। তাছাড়া সাকিব আল হাসান আমাদের বিপক্ষে মাঠে নামছে সেটাও আমরা জানি। তাই নিজেদের সেরা ক্রিকেট ছাড়া তাদের হারানো সহজ নয়।’
এশিয়ার অন্যতম এ ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তান ১৯৮৬ থেকে ২০১২ সাল পযর্ন্ত ৩১ ম্যাচ খেলে ৩০ ম্যাচেই জিতেছে। স্বাগতিক বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে প্রথমবার ৬২ রানে হারায়। কিন্তু সেই পরিসংখানের হিসাব মেলালে চলবে না। সে কথা পাকিস্তান ভালো করেই টের পয়েছে গত এশিয়া কাপের ফাইনালে।
২০১২ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে কাঁদিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে টাইগাররা। শুধু তাই নয়, টান টান উত্তেজনার পূর্ণ ফাইনালে শেষ বল পযর্ন্ত লড়াই করে মাত্র ২ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। তাই দেশের কোট কোটি ক্রিকেট ভক্ত এশিয়া কাপের অষ্টম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাবে এমন স্বপ্ন দেখতেই পারে। শুধু জয়ের স্বপ্নই নয়, গত আসরের এশিয়া কাপের ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নেবে বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।