হাইকোর্টে তদন্তকারী কর্মকর্তা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সাগর-রুনি হত্যা মামলার সর্বশেষ তথ্য জানানোর জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা জাফরউল্লা হাইকোর্টে হাজির হয়েছেন। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে তলব করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
বুধবার নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হয়ে এই মামলার তদন্তে কতটুকু অগ্রগতি জানাবেন তিনি।
ওই দিন হাইকোর্ট তার আদেশে একইসঙ্গে মামলার ওই কর্মকর্তাকে আদালতে হাজিরা নিশ্চিত করতে র্যাবের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন।
সাগর রুনি হত্যা মামলায় কারাগারে বন্দিদের (শোন এ্যরেস্ট) জামিন আবেদনের প্রাথমিক শুনানিকালে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। সাগর-রুনি হত্যা মামলায় (শোন-এ্যরেস্ট) গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো বকুল মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও কামরুল হাসান অরুন।
এ তিন আসামিকে ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর সাগর-রুনি হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। এর আগে ২০১২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাদেরকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা: নারায়ন চন্দ্র দত্ত হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তারা কারাগারে আছেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এস এম মাসউদ হোসেন দোলন। তাকে সহযোগিতা করেন খলিফা শামসুন্নাহার।
আদালতে আইনজীবী বলেন, মামলা করার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত চার্জশিট দাখিল করেনি এবং কোন অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। সুতরাং তাদেরকে জামিন দেয়া হোক।
শুনানি শেষে এ মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর রুনি দম্পত্তি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ গৃহে খুন হন। এর পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারি হত্যার অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন নওশের আলম রোমান। এই মামলার তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর ডিবির কাছ থেকে তদন্তের জন্য র্যাবের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
প্রথমে তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরে বাংলা থানার এক এসআই। একদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপর ন্যস্ত করা হয়। দুই মাসেরও অধিক তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ওই বছর এপ্রিল মাসে হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে ন্যস্ত করা হয়।