লিফট ব্যবহারের আদব কায়দা
লাইফস্টাইল ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আজকাল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাপনে লিফট ব্যবহার খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। বাসা-বাড়ি, অফিস, শপিং মলে লিফট আর এলিভেটর খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। এখন হাসপাতাল, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোই বহুতল ভবনের হওয়ায় সেখানেও লিফটের ব্যবহার হচ্ছে। এসব লিফট অথবা এলভিলেটরে চড়া, ওঠানামা করতে গিয়ে নানাজনে এমন সব কাণ্ড করে বসেন যা বেশ বিব্রতকর পরিবেশ ও পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মকানুন, আদব কায়দা মেনে চলার প্রয়োজন রয়েছে-
* লিফটে চড়তে হলে অপেক্ষা করুন।
* অনেক মানুষ হলে লাইনে দাঁড়ান। পরে এসে ধাক্কাধাক্কি করে আগে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।
* লিফট এসে গেলে ওটাকে আটকে রেখে বাইরে কারও সঙ্গে কথা বলবেন না। তেমন পরিস্থিতি হলে অন্যদের উঠতে দিন। আপনি পরের বার যান।
* শিশু, মহিলা এবং বয়স্কদের আগে যেতে দিন। হুইল চেয়ার কিংবা স্ট্রেচারে অসুস্থ মানুষকে পথ করে দিন।
* লিফটের বোতাম শক্তি প্রয়োগের জায়গা নয়, হালকা হাতে টিপুন।
* লিফটের অপেক্ষায় যখন থাকবেন, অধৈর্য হয়ে বার বার বোতাম টিপবেন না।
* লিফটের ভেতরে যারা আছেন, তাদের আগে বেরুতে দেবেন, তারপর আপনি ঢুকবেন। আপনি লিফটের ভেতরে থাকলে বাইরে থেকে যারা ঢুকছেন পেছনে সরে গিয়ে তাদের জায়গা করে দিন। পেছন থেকে বেরুতে চাইলে সামনে যারা আছেন তাদের বিনীত ভঙ্গিতে ‘এস্কিউজ মি’ বলুন।
* আপনি যদি লিফটের ভেতরে কন্ট্রোল প্যানেলের কাছে থাকেন, কে কোন তলায় যাবেন জেনে নিয়ে বোতাম টিপুন।
* লিফটের ভেতর পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা হলে প্রাণ খুলে গল্প করবেন না। লিফটের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা না বলাটাই উচিত। এছাড়া লিফটের মধ্যে উঁচু গলায় কথা বলাটা মোটেও শোভন নয়।
* অন্য কারও মুখের ওপর লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়া অভদ্রতা। প্রয়োজন দরজা খুলে রাখার বোতাম টিপে রাখুন।
* লিফট পরিচালনাকারী লিফটম্যানদের সঙ্গে যথাসম্ভব ভাল ব্যবহার করম্নন। নিজেকে জাহির করতে অযথা ধমক দেবেন না। অহেতুক নির্দেশ দেবেন না। তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না।
* এলিভেটরে চড়ার আগে শাড়ি পরা থাকলে কুচি গুছিয়ে সামান্য তুলে ধরম্নন।
* লিফটে চড়ার আগে পাশের দেয়ালের বোর্ড থেকে জেনে নিন আপনি যেখানে যেতে চাইছেন সেটি কোন ফ্লোরে অবস্থিত। সঠিকভাবে জেনে নিশ্চিত হয়ে আপনার গন্তব্য ফ্লোরের কথা বলুন লিফটম্যানকে। নির্দিষ্ট ফ্লোরে পৌঁছানোর পর তাকে ধন্যবাদ জানান।
* লিফটের মধ্যে জোরে হাঁচি কিংবা কাশি দেবেন না। হাঁচি-কাশি এলে মুখে রম্নমাল চাপা দিন। অন্যের জন্য বিরক্তি কিংবা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন না।
* যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা লোডশেডিং অথবা অন্য কোন কারণে লিফট মাঝপথে আটকে গেলে ভয় পেয়ে অযথা সিনক্রিয়েট করবেন না। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। অহেতুক আতঙ্ক ছড়াতে যাবেন না। বরং অন্যদের মনে সাহস যুগিয়ে তুলুন।