অভিযোগের তীর মুশফিকের দিকে
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ কেন বারবার তীরে এসে তরী ডোবাচ্ছে বাংলাদেশ? অনেক কারণই ভেসে বেড়াচ্ছে হাওয়ায়। অভিযুক্তও হচ্ছেন অনেকে। সেই ধারাতেই এবার অভিযোগের তীর অধিনায়ক মুশফিকের দিকে।
টানা ভালো করার পুরস্কার হিসেবে যাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ঢোকানোর পথ খুঁজছেন নির্বাচকরা, সেই আরাফাত সানিও উপেক্ষিত পাকিস্তান ম্যাচে। তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা ধরে রাখেন আবদুর রাজ্জাক। আর সেটা মুশফিকের পছন্দের কারণেই। আরাফাত সানির পরিবর্তে রাজ্জাককে খেলানোর যুক্তি দিয়েছেন মুশফিক, ‘গত ১০ বছর ধরে উনার (রাজ্জাক) কন্ট্রিবিউশন ভুলে গেলে চলবে না।’
অভিজ্ঞতা খোলা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না, তবে সবার আগে ফর্ম। শ্রীলঙ্কা সিরিজের টি-টোয়েন্টি থেকে শুরু করে আফগানিস্তান ম্যাচ পর্যন্ত খেলা ৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে সানির উইকেট ৮টি, ওভারপ্রতি রান ৫-এর নিচে। একটি ম্যাচেই উইকেট পাননি এ বাঁহাতি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে উইকেটহীন সানি ১০ ওভার দিয়েছিলেন মাত্র ৪২ রান।
অন্যদিকে এশিয়া কাপে খেলা ৩ ম্যাচে ১টি করে উইকেট পেলেও রাজ্জাক গুনেছেন যথাক্রমে ৫৫, ৫৭ ও ৭২ রান। অতীত পরিসংখ্যান এবং সাম্প্রতিক ফর্মের মধ্যে এ ক্ষেত্রে প্রথমটিকেই বেছে নিয়েছেন অধিনায়ক, যদিও জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বর্তমান ফর্মের গুরুত্বই বেশি।
পাকিস্তানের কাছে হারের পর জিয়াউর রহমানকে একবারও বোলিং আক্রমণে না আনা নিয়েও কথাবার্তা হচ্ছে বাইরে এবং দলের ভেতরেও। অবশ্য বিভিন্ন সময় সংবাদ সম্মেলনে যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, তাতে মনে হতেই পারে যে জিয়ার ওপর খুব একটা আস্থা নেই তার।
লোয়ার অর্ডারে নেমে ভারতের বিপক্ষে ১২ বলে ১৮ এবং আফগান ম্যাচে ২২ বলে ৪১ রানকে অধিনায়কের মনে হচ্ছে ‘সৌভাগ্যপ্রসূত’! আবার জিয়া ‘খণ্ডকালীন’ বোলার বলেই পাকিস্তান ম্যাচে তার হাতে বল দেওয়ার ঝুঁকিটা নিতে চাননি মুশফিক। অথচ ‘খণ্ডকালীন’ বোলার জিয়ার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু পেসার হিসেবে এবং ভারতের বিপক্ষে ৫ ওভারে ২০ রানে ১ উইকেট এবং আফগানিস্তান ম্যাচে ৭ ওভারে ৩৯ রান দিয়েও কেন অধিনায়কের আস্থা অর্জন করতে পারছেন না, সেটি বোধগম্য নয়।
এ প্রশ্নগুলো ওড়াউড়ি করছে বিসিবির শীর্ষ মহল থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মহলে। তাহলে কি মুশফিক নেতৃত্ব দিতে পারছেন না সঠিকভাবে? নাকি কোনটা হীরে কোনটা কাঁচ বোঝার ক্ষমতাটা হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।