প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সংলাপ চায় চীন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের মধ্যে ইতিবাচক সংলাপ প্রত্যাশা করে চীন। বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার ও চীন এশিয়ার এই চার দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন চায় দেশটি। পাশাপাশি চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপনেও আগ্রহ রয়েছে দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডিক্যাব (ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ) আয়োজিত ডি-টকে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লী ঝুন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিরোধী দল বয়কট করেছে। ভোটার অংশগ্রহণও বেশি ছিল না। প্রধান দুই দলের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই বর্তমান সঙ্কট উত্তরণ সম্ভব। ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদের মধ্যে ইতিবাচক সংলাপ সব সময় প্রত্যাশা করে চীন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে ৫ জানুয়ারি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষায় সমর্থন দিয়েছে চীন। তারপরও ভোটার অংশগ্রহণ যেহেতু বেশি ছিল না তাই উভয় দলের মধ্যে ফলপ্রসূ সংলাপ হওয়া দরকার।
লী ঝুন বলেন, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও প্রতিবেশী। বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলেও চীনের ব্যবসায়ীদের পছন্দের বিনিয়োগের স্থান বাংলাদেশ। তবে স্থিতিশীল রাজনীতির জন্য শান্তিপূর্ণ সংলাপ হওয়া দরকার।
এছাড়া ভারত-চীনের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক ইতিবাচক বলে তিনি দাবি করেন। ভারত চীনকে একটি এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (ইপিজেড) দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীনের আগ্রহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে চীনের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো আমাদের কিছু বলেননি। তবে সব কিছু নির্ভর করছে বাংলাদেশের উপর।
সন্ত্রাসকে সব দেশের অন্যতম সমস্যা উল্লেখ করে লি ঝুন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সন্ত্রাসের প্রতি জিরো টলারেন্সকে আমরা স্বাগত জানাই।