মাথা ব্যথার খাবার
লাইফস্টাইল ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিশেষজ্ঞরা বলেন, মাথাব্যথার কারণ জানা থাকলে এ সমস্যা দূর করা অনেকটাই সম্ভব। আর মাথাব্যথার অনেক কারণের মধ্যে খারাপ খাদ্যাভ্যাস একটি। যেমন অনেক রোগী মনে করেন, কিছু খাবার গ্রহণ করলে তাদের ব্যথা বেড়ে যায়। আবার কিছু খাবার ব্যথা নিরাময়ে সাহায্য করে। যদিও যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবু নিচের খাবারগুলো ব্যথা সম্পূর্ণ নিরাময় না করলেও প্রতিরোধ করতে পারে।
পালং শাক: আপনি হয়তো বিভিন্ন উপকারিতার জন্য শাকসবজি খেয়ে থাকেন। আজ থেকে অন্য একটি উপকারিতা যোগ করে নিতে পারেন। পালং শাকে থাকে রিবোফ্লাভিন নামক এক প্রকার ভিটামিন ‘বি’, যা মাইগ্রেন প্রতিরোধে সক্ষম।
চর্বিযুক্ত মাছ: এ ধরনের মাছে রয়েছে ওমেগা৩ নামক ফ্যাটি এসিড। এগুলোর অ্যান্টি-ইনফ্লাম্যাটরি নামক উপাদান ব্যথা কমিয়ে দেয়। তাছাড়া এসব মাছে অন্যান্য উপকারিতাও রয়েছে।
তরমুজ: আপনার ব্যথার সঙ্গে যদি পানিশূন্যতার সম্পর্ক থাকে, তাহলে তরমুজ খেতে পারেন। কারণ তরমুজে প্রচুর পানি রয়েছে। আমরা দৈনন্দিন চাহিদার ২০ শতাংশ পানি খাবার গ্রহণের মাধ্যমে পাই। তরমুজ দেহে বিভিন্ন খনিজের পাশাপাশি পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। এগুলো ব্যথা উপশমেও কাজ করে।
আলু: ব্যথা উপশমে পটাশিয়ামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যদিও কলাকে পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উপাদান বলে বিবেচনা করা হয়, তবে এটি আলুতে সর্বাধিক পরিমাণ পাওয়া যায়।
ক্যাফেইন: দৈনিক ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ ব্যথা উপশমে কাজ করে। অর্থাৎ আপনি পাঁচ কাপ কফি পানে এই পরিমাণ ক্যাফেইন পাবেন।
কাঠবাদাম: গবেষণায় দেখা গেছে, মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে পটাশিয়ামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তবে পটাশিয়াম মাইগ্রেন ছাড়া অন্য সব ধরনের ব্যথা কমাতে পারে কিনা, সে বিষয়ে গবেষকরা নিশ্চিত হতে পারেননি। যেহেতু কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, তাই মাইগ্রেনের ব্যথায় এটি খেতে পারেন।