আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বাড়ছে

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজনৈতিক অস্থিরতার পরও ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম সাত (জুলাই-জানুয়ারি)মাসে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলা ও নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং নিষ্পত্তির হার বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বেসরকারি খাতের নেতিবাচক ঋণ প্রবাহের মধ্যেও মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যম পণ্য ও খাদ্যপণ্য আমদানি অনেক বেড়েছে।পেট্রল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের সাত মাসে খাদ্যপণ্য আমদানি বেড়েছে অধিক হারে। এ সময়ে চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৭ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল এক কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১০৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার শতাংশ। এছাড়াও আমদানির জন্য চিনি ১৩ দশদমিক ৬০ শতাংশ, পিয়াজ ৯৮ দশমিক ২৭ শতাংশ, গম ১৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ,  দুধ জাতীয় খাদ্য ৩৭ দশমিক ৮০ শতাংশ ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে মোট ২ হাজার ২৪২ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্যের ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২৮ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে। এ সময়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ২  হাজার ১২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৮৭২ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। এতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

অলোচ্য সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। এ সময় ২১১ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৫৪ দশমিক ২৭ শতাংশ।এ সময় নিষ্পত্তি হয়েছে ১৮ দশমিক ২৫ শতাংশ। এ সময় শুধু পেট্রল ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য আমদানি কমেছে ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ আর নিস্পত্তি কমেছে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বিগত সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা দাবি করলেও চলতি অর্থবছরে হঠাৎ করে খাদ্যপণ্য আমদানি তুলনামূলক বেড়েছে। এতে আমদানি চিত্র কিছুটা বদলে গেছে। এছাড়া পোশাকশিল্প খাতের ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি, মূলধনী যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি তেলের আমদানিতেও বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়েছে। এতে দুই বছর ধরে চলে আসা আমদানির অচলাবস্থা কাটতে শুরু করেছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ