নৌকা তীরে ভেড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে পুলিশ : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা ঠিকমতো তীরে ভেড়াতে সুযোগ করে দিয়েছে পুলিশ বাহিনী। এজন্য তারা ধৈর্যৈর পরিচয় দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার রাতে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স টেলিকম মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৩৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি একথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার বেনজির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গত এক বছর আমাদের সরকারের গত মেয়াদে যে রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছে, তা পুলিশ বাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে রুখে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ৬ মার্চ পুলিশ সপ্তাহে এ বাহিনীতে ব্যয়কে বিনিয়োগ বলে মন্তব্য করেছেন। কারণ এর যৌক্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে। পুলিশে বিনিয়োগ হলে দেশ ও জনগণ সুফলভোগী হবে। আজকের অনুষ্ঠানে পুলিশ বাহিনীর যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায়।
প্রধান অতিথি এইচ টি ইমাম বলেন, সরকার কাউন্টার টেরোরিজম করার জন্য কাজ করছে। রাজশাহী ও সাতক্ষীরায় দুষ্কৃতকারীদের তাণ্ডব কঠোরভাবে দমন করেছে পুলিশ। দেশের উন্নয়নের জন্য নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়ন জরুরি। পুলিশ সরকারের একটি অঙ্গ বলে তাদেরকে সার্বক্ষণিক আধুনিকায়ন অব্যাহত রাখতে হবে।
ড. মসিউর রহমান বলেন, দেশ ও জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ বাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীর জন্য অনেক কিছু করেছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেন, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় গত এক বছরে ১৭ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। ৪০০ জন গুরুতর আহত এবং ২৮০০ জন আহত হয়েছে। নানান সীমাবদ্ধতা এবং বিভিন্ন ঘাটতি সত্বেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশের যেসব অসুবিধা রয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সরকারের গত মেয়াদে প্রায় ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ পুলিশের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে। এরমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা পুলিশ ডিভিশন, আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি, ক্যাডার পদ ২ থেকে ৫ শতাংশে উন্নীত করা, বাহিনীতে আরো ৮ টি কর্মকর্তার পদকে বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত করা, হাইওয়ে পুলিশের জনবল, অফিস ও যানবাহন বৃদ্ধি প্রভৃতি।