দিল্লীতে গোয়েন্দা এজেন্সির পৌষ মাস!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সাধু সাবধান প্রার্থীরা! অতীতে কোনও গড়বড় করে থাকলে, তা জনসমক্ষে চলে আসতে পারে৷কালিমালিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে৷ বদলে যেতে পারে ভোটারদের মনোভাব৷ জেতা ভোটও হারতে হতে পারে!
ভোটে জিততে বিরোধী পক্ষের ব্যক্তিগত কেচ্ছা জানতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন এবার অনেক প্রার্থী৷ তাই, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পেছনে টিকটিকি লাগাতেও তৎপর হয়ে উঠেছেন কেউ কেউ৷ ইতোমধ্যেই দেশের বেশ কিছু বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন বিভিন্ন প্রান্তের বেশ কিছু লোকসভা প্রার্থী৷
ভোটে জিততে মরিয়া প্রার্থী বেসরকারি গোয়েন্দাকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চান৷ একদিকে যেমন চাওয়া হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য৷ তথ্য জানার মাধ্যমে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু জানাটাই উদ্দেশ্য৷যা ভোট প্রচারে কাজে লাগানো যাবে৷এটা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ৷তাই বিরোধী পক্ষের নেতিবাচক তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিদিন ফেসবুক, ট্যুইটার, ইউটিউবে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন অনেক প্রার্থী৷
এমনকি সূত্রের খবর, প্রার্থীদের গোপন তথ্য তুলে আনতে ময়দানে নামানো হচ্ছে ‘বি-গ্রেড’ সুন্দরীদরে৷
তবে, একই সঙ্গে গোয়েন্দাদের জানতে হবে বিরোধীরা জয়ের জন্য কীভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছে৷ তা যদি জানা যায়, তখন তাকে মোকাবিলা করার জন্য পাল্টা চাল দেওয়ার প্রস্তুতিও নেওয়া যাবে বলেই অভিমত অনেক প্রার্থীর৷ তাছাড়া বহু নির্বাচন কেন্দ্রে প্রকৃত প্রার্থীর পাশাপাশি আবার বেশ কিছু ‘ডামি’ প্রার্থী নির্বাচনের ময়দানে নেমে পড়েন৷ ওইসব ডামি প্রার্থী কারা এবং তারা কীভাবে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভোট কাটাকাটিতে অংশ নিচ্ছে, সেটা বুঝতে গোয়েন্দাদের শরনাপন্ন হচ্ছেন কেউ কেউ৷ এই পরিষেবা পেতে কৃপনতা করতে চান না বরং তুলনায় কিছুটা দরাজ হস্ত প্রার্থীদের কেউ কেউ৷ তাই, তাঁদের নির্বাচনী বাজেটে কেউ কেউ এক লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা টাকা বরাদ্দ করে ফেলেছেন গোয়েন্দাদের জন্য৷
এই প্রসঙ্গে দিল্লির এক গোয়েন্দা সংস্থার কর্তা জানালেন, দিল্লি, উত্তর প্রদেশে এবং বিহারের বেশ কয়েকজন প্রার্থী তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন৷এই পরিষেবা পেতে শুধু কথা বলাই নয় অগ্রিম টাকাও জমা করেছেন কিছু প্রার্থী৷ আবার কেউ অপেক্ষা করছেন দলের কাছ থেকে টিকিট পাওয়ার জন্য৷ তার পরেই টাকা দেবেন৷ গোয়েন্দা সংস্থার কর্তার যুক্তি, দলীয় কর্মীদের বদলে এই ধরনের তথ্য সংগ্রহে গোয়েন্দা সংস্থাগুলি পারদর্শী হওয়ায় বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা তাঁদেরই বেছে নিচ্ছে৷ফলে এই সময়টা গোয়েন্দা এজেন্সির ব্যবসার পক্ষে পৌষ মাস বলা চলে৷