মালিঙ্গাকেই কৃতিত্বটা দিলেন দুই অধিনায়ক

স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ টেস্ট খেলাটা ছেড়েছেন সীমিত ওভারের ক্রিকেট বেশি বেশি খেলবেন বলে। খেলছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ লিগে, সেখান থেকেই চলে এলেন বাংলাদেশে। দুই টি-টোয়েন্টি ও তিন ওয়ানডেতে ৭ উইকেট নিয়ে দলের সাফল্যে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা।

তবে আসল খেলটা দেখিয়েছেন এশিয়া কাপের উদ্বোধনী আর ফাইনাল ম্যাচে। দুটি ম্যাচেই ৫ উইকেট করে নিয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন এই পেসার। তাই মালিঙ্গাকেই কৃতিত্বটা দিলেন শ্রীলঙ্কান ও পাকিস্তানের অধিনায়ক।

ম্যাথুজ জানালেন, ‘খুব ভালো লাগছে বাংলাদেশে এক মাসের বেশি কাটিয়ে অপরাজিত হয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে। দলের সবাই ভালো করেছে। তবে মালিঙ্গার কথা আলাদা করে বলতেই হবে। ফাইনালে ওর ৫ উইকেটই গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য।’

ফাইনালে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মালিঙ্গাই। নিজেদের ভুলে হারের কথা বললেও পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ আলাদা করে নাম নিলেন মালিঙ্গারও, ‘আমরা ২০-২৫ রান কম করেছি। মালিঙ্গার দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্যই হয়েছে এটা। তবে সাঈদ আজমল ছাড়া আর কেউ ভালো বল করতে পারেনি। ফাইনালের মত খেলায় একজন বোলার দিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না।’

ফতুল্লায় পাকিস্তানের বিপক্ষেই ১০ ওভার বোলিং কোটার প্রথম ৭ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য, শেষ ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। মালিঙ্গা ম্যাজিকেই সেদিন খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা, ফাইনালে সেই পাকিস্তানকে পেয়েই আবারও জ্বলে উঠলেন ‘স্লিংগার’।

ম্যাচের প্রথম বলটা করেছিলেন মালিঙ্গা, ১৩২ কিলোমিটার বেগে। চাবুকের মতো সপাটে ব্যাট চালিয়ে বলটা সীমানাছাড়া করেছিলেন শারজিল খান, এক বল পর আবারও বাউন্ডারি। ব্যাটসম্যানকে এভাবে খেলতে দেখে হয়তো খুশিই হয়েছিলেন মালিঙ্গা, আক্রমণাত্মক হলেই না বোলারের সুযোগ!

খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে, ওভারের শেষ বলটা মালিঙ্গা করেছিলেন ফুলার লেন্থে, লেগ মিডলে। ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন শারজিল, তাতে শেষ হাসিটা মালিঙ্গারই। পরের ওভারেও শেষ বলে মালিঙ্গা ‘নকআউট’ করেন বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা আহমেদ শেহজাদকে। অফস্টাম্পের একটু বাইরের বলে ব্যাকফুট পাঞ্চ করার লোভটা সামলাতে পারেননি শেহজাদ। ফলে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে কুমার সাঙ্গাকারার বিশ্বস্ত গ্লাভসে।

মোহাম্মদ হাফিজও পরের ওভারে উইকেট দিয়েছেন মালিঙ্গা-সাঙ্গাকারার যুগলবন্দিতে। গুডলেন্থ বলটা মাটি ছুঁয়ে হালকা বাঁক খেয়ে হাফিজের ব্যাটে পালকের পরশ বুলিয়ে জমা পড়ে সাঙ্গাকারার হাতে। দলীয় রান তখন ৫ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৮।পরের স্পেলে ফিরে আরও দুই উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে পঞ্চমবার এশিয়া কাপের শিরোপা এনে দিয়েছেন মালিঙ্গাই।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ