জাতীয় নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছেন তারা জাতীয় বীর

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ যারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি, তারা ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখতে ভোটারদের মৃত্যুভয় দেখিয়েছিল। তাই মৃত্যুভয় কাটিয়ে যারা ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছিলেন তারা যুদ্ধে জয়ী জাতীয় বীর।

শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট আয়োজিত ‘৭ মার্চ জাতীয় দিবস ঘোষণা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনএফ প্রেসিডেন্ট সাংসদ আবুল কালাম আজাদ এই কথা বলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা বলেছেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু আপনারা যদি জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখতে পেট্রল বোমা, আগুন ও সহিংসতার ভয় না দেখাতেন, তাহলে দেখতেন কত লোক ভোট দিতে আসতো।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ গণতন্ত্র প্রিয়, তারা সামরিক শাসন চায় না। কিন্তু গত জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি মহল সামরিক বাহিনীকে উস্কানোর চেষ্টা করেছিল। ভবিষ্যতে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যদি কোনো চক্রান্তের চেষ্টা করা হয় তবে বিএনএফ দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবে।

৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ৭ মার্চকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ এটি পালন করুক আর না করুক, বিএনএফ সামনের বছর থেকে ৭ মাচর্কে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দিবস হিসেবে পালন করবে।

জয় বাংলা স্লোগান সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি কোনো দলের স্লোগান নয়, জয় বাংলা দেশের ১৬ কোটি মানুষের স্লোগান। আমাদের জাতীয় মাছ, ফল, বৃক্ষ আছে; কিন্তু স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও আমারা জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারিনি। তাই আমি দাবি জানাচ্ছি জয় বাংলাকে যেন সাংবিধানিকভাবে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করা হয়।

বিএনএফ’র যুগ্ম-সমন্বয়ক মাহজাবিন ওয়াহেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা এস এম ইসলাম, খালিদ হোসাইন, রফিকুল ইসলাম আরজু, প্রশান্ত রোজারিও, তৃণমূল ন্যাপ সভাপতি পরশ ভাসানি প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ