ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক কিডনি রোগ বাড়াচ্ছে

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ অনিয়ন্ত্রিত ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের কারণে দেশে কিডনি রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কিডনি সমস্যার ব্যাপকতার তুলনায় দেশে চিকিৎসার সুযোগ কম। জনসচেতনতা বাড়ানোই সমস্যা সমাধানের প্রধান বিকল্প হতে পারে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বয়সের সাথে বাড়ে কিডনি রোগের ঝুঁকি: প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ আলোচকেরা এ কথা বলেন। বেসরকারি সংগঠন ক্যাম্পস (কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি) এই বৈঠকের আয়োজন করে।
বিশিষ্ট কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বৈঠকে বলেন, ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক কিডনির ক্ষতি করে। দেশে ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ নেই। রোগীরা সহজে এসব ওষুধ কিনতে পারে। চিকিৎসকদের একটি অংশ রোগীদের অবস্থা ঠিকমতো না জেনেই ব্যবস্থাপত্রে ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন মাত্র ৭৫ জন। সরকারি-বেসরকারি মাত্র ৮০টি কেন্দ্রে ডায়ালাইসিস হয়। কিডনি প্রতিস্থাপন হয় হাতেগোনা গুটি কয়েক কেন্দ্রে। আলোচকরা বলেন, সরকারি সেবার আওতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও সেবাকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে বলে জানান এখানকার কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রফিকুল আলম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ক্যাম্পাসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ সামাদ বলেন, কিডনি ৭৫ শতাংশ নষ্ট হওয়ার পরও মানুষ জানতে পারে না যে তার কিডনি নষ্ট। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কণ্ঠশিল্পী মো. আবদুল জব্বার, বিএসএমএমইউর শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক গোলাম মাঈনউদ্দিন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ