বাংলাদেশ থেকে ৪৫ কেজি সোনা পাচারের সময় তৃণমূল নেতা আটক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশ থেকে ৪৫ কেজি সোনা ভারতে পাচারের সময় দুইজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে ভারতের কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ। আটক আব্দুল বারিক বিশ্বাস নামের মূল পাচারকারী উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতা। দ্বিতীয় ব্যক্তি তার গাড়ির চালক।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ বিশ্বাস সোনা ছাড়াও গরু, অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং জাল টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত আর জঙ্গিদেরও মাঝেমধ্যে সাহায্য করে থাকেন। কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগ বা ডাইরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই) বলছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে একটি গাড়ি থেকে আব্দুল বারিক বিশ্বাস ও তার গাড়ির চালককে আটক করে। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে ৪৫ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়।
ডিআরআই অফিসারেরা বলছেন, বারিক বিশ্বাস ওই সোনা বাংলাদেশ থেকে বেআইনি পথে নিয়ে এসেছেন বলে তাদের সন্দেহ। ওই সোনার আনুমানিক দাম ১৩ কোটি ভারতীয় টাকা। বিশ্বাস ও তার চালককে রোববার কলকাতার একটি আদালতে তোলা হয় কাস্টমস আইন ভাঙ্গার অভিযোগে।
ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, ৪৫ কেজি সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হচ্ছিলো বলে তারা ধারনা করছেন।
১২ই মার্চ পর্যন্ত বারিক বিশ্বাসকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ডিআরআই নিজেদের হেফাজতে কাউকে রাখতে পারে না, তাই জেলে গিয়েই জেরা করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করবেন যে ওই সোনা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
বারিক বিশ্বাসের আইনজীবীর দাবী যে তার মক্কেল একটি বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তাতেই ওই গাড়িতে লিফট নিয়েছিলেন। সোনা পাচারের সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বিশ্বাস উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটের বাসিন্দা এবং এলাকায় তিনি ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দলের পরিচিত নেতা।
তবে দলটির জেলার প্রধান নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, ধৃতের দাদা তাদের দলের নেতা এবং জেলা পরিষদ সদস্য, কিন্তু বারিক বিশ্বাসের সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই।
গোয়েন্দাদের সন্দেহ বারিক বিশ্বাস একটি বড় পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত এবং ওই চক্রটি নিয়ে অতি সম্প্রতি বিস্তারিত খোঁজখবরও নেওয়া শুরু হয়েছে।