হরতাল এ পুড়ছে শহর
হরতালের আগের দিন সোমবার দুপুর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত নয়টি গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
দেশজুড়ে গণহত্যার প্রতিবাদ এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক পুনর্বহাল ও সরকারের পতনের দাবিতে ১৮ দল আর কেন্দ্রীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ছাত্রশিবির মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লা হলের সামনে দুপুরে একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বহনকারী ভাড়া করা একটি ‘তরঙ্গ’ বাসে এই আগুন দেয়া হয়। তবে বাসে এ সময় কোনো শিক্ষার্থী ছিলেন না।
রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেস মোড়ে সোমবার বিকেলে একটি প্রাইভেটকারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এরপর রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকায় একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এছাড়া কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনের সামনেও একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কারওরান বাজারের ওয়াসা ভবনের সামনে একটি ট্যাক্সি ক্যাবে এবং মোহাম্মদপুরের বাঁশবাড়িতে অন্য একটি প্রাইভেটকারে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ দিকে দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির এক প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে তিনটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
এর মধ্যে সংবাদ সংগ্রহের কাজে থাকা এটিএন নিউজের একটি গাড়িও রয়েছে। গাড়ির চালক সোলায়মানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
বিকেল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হরতাল সমর্থনে মিছিল করেছে বিএনপি ও জামায়াত এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো। হরতাল সমর্থনে মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরও।
এদিকে, হরতালের আগেরদিন গাড়ি পোড়ানো আতঙ্কে দুপুরের পর থেকে রাজধানীতে যান চলাচল কমে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়ে অফিস ফেরত লোকজন।
অন্যদিকে, হরতালকে ঘিরে নাশকতা এড়াতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকায় সন্ধ্যার পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি টহল শুরু করেছে।