বিদেশিদের সম্মাননার অধিকারও হারিয়েছে বিএনপি!

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধকালীন বন্ধুপ্রতিম দেশ, ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শনের অধিকারও নেই বিএনপির! অন্তত আওয়ামী লীগ নেতারা তাই মনে করছেন।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনে করে শুধু তারাই মুক্তিযুদ্ধের সব গৌরবের দাবিদার। ‘মুক্তিযোদ্ধা চিরকাল মুক্তিযোদ্ধা নন’ আওয়ামী লীগের এ তত্ত্ব অনুসারে রাজাকার আওয়ামী লীগে আসলেই মুক্তিযোদ্ধা বনে যায়, আর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ ছেড়ে গেলে রাজাকারে পর্যবসিত হন। জিয়াউর রহমানের অবদানকেও তারা স্বীকার করতে চায়না। আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমও যেমন তাদের কাছে অপাংক্তেয়, তেমনি বরণ করে নিয়েছেন অনেক নামকরা রাজাকারকেও, তারা আ’লীগে আছেন বহাল তবিয়তে।

বিএনপি নেতৃবৃন্দের অভিযোগ- মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন-সহযোগিতা প্রশ্নে আওয়ামী লীগের বিভাজন রেখা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছেছে। বিএনপি তাদের সম্মানিত করতে চাইলেও সরকারি দলের নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতি বিদেশি বন্ধুদের জন্য বিব্রতকর।

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অবদান রাখার জন্য বিদেশি প্রতিনিধিদের ২০ মার্চ বিএনপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ‘ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার বিকেলে ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি নাকি ২০ মার্চ স্বাধীনতায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য বিদেশি বন্ধুদের সংবর্ধনা দিবে। আমি খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চাই- তিনি কিসের সংবর্ধনা দিবেন? তিনি রাজাকার-জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনতার অবদানের জন্য সংবর্ধনা দিবেন?

তিনি আরও বলেন, রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে এ ভণ্ডামি বন্ধ করুন। বাংলাদেশের মানুষ এ ভণ্ডামি দেখতে চায় না, বাংলার মানুষ এগুলো সহ্য করবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমির্টির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করে মুক্তিযুদ্ধের সকল গৌরব তাদের। বাকিদের কোন অবদান-অর্জন নেই। তবে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে আয়েশী জীবনের কথা হানিফ না বললেও এদেশের মানুষ জানে।

চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মীর মো.নাছির উদ্দিন এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ আত্মসমর্পণ করেন, কেউ ভারতে চলে যান। জিয়াউর রহমান সেই দিকনির্দেশনাহীন সময়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিক পথে পরিচালনা করেন। হানিফের বক্তব্য দায়িত্বহীন। হানিফের উচিত মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আবার পড়া।

আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা ও সমর্থনদানকারী প্রায় ৪শ’ বিদেশিকে সম্মাননা দিয়েছে। আর বিএনপি আগামী ২০ মার্চ বিদেশিদের সম্মাননা দিতে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ