সতর্ক থাকুন হাই হিলে
লাইফস্টাইল ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জুতায় হাই হিল এখন ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তরুণীদের ফ্যাশনে পূর্ণতা আনতে হাই হিলের জুড়ি নেই। শুধুমাত্র তরুণীরাই নয় যে কোনো বয়সে মানিয়ে যায় হাই হিল জুতা। তবে হাই হিল ব্যবহারে অবশ্যই কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, হাই হিলে হাই রিস্ক। সৌন্দর্য বাড়াতে বেশি উঁচু হিল পরলে হাঁটুর ক্ষতি হতে পারে। হিলে সাময়িক উচ্চতা হয় তো বাড়বে। কিন্তু পরে চিরকালের জন্য খুঁড়িয়ে হাঁটতে হতে পারে।
হাই হিল ব্যবহারে গোড়ালি মচকে যাওয়া থেকে শুরু করে হাড়ে চিড় ধরার ঘটনাও অস্বাভাবিক নয়। শুধু তাই নয়, পায়ের বুড়ো আঙ্গুল এবং অন্যান্য আঙ্গুলের বিকৃতি ঘটার পেছনেও দায়ী হতে পারে হাই হিল। এটা তখনই বেশি হতে দেখা যায় যখন পায়ের জন্য হাই হিল জুতোটা বেশি টাইট হয়ে থাকে।
মূলত কম উচ্চতার হিল ব্যবহার সবচেয়ে ভালো। এতে পায়ের সামনের দিকটা সুস্থ থাকে। শুধু তাই নয়, হিলটা যদি হয় স্টিলেটোর মতো চিকন (যাকে আমরা পেন্সিল হিল বলে থাকি), তাহলে সেটা বেশি ক্ষতি করবে। এর চাইতে একটু মোটা হিলের জুতো পড়ুন, তাতে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে, সহজে পা ফসকাবে না, মচকাবেও না।
খুব বেশি উঁচু হিলের কারণে বেশ গুরুতর কিছু শারীরিক সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে, যেমন প্ল্যান্টার ফ্যাসিটিস এবং একিলিস টেন্ডনাইটিস। শুধু তাই নয়, মর্টন’স নিউরোমা নামের একটি স্নায়বিক রোগও হতে পারে নিয়মিত হাই হিল পরার দোষে।
অস্থি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তাদের কাছে এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় অল্পবয়সী রোগী আসছেন। তাদের অনেকেই আসছেন গোড়ালি বা হাঁটুতে ব্যথা নিয়ে। দেখা যাচ্ছে, সব অসুবিধার মূলে সেই জুতার হিল। অস্বাভাবিক উঁচু হিল পরায় গোড়ালি উঁচু হয়ে থাকছে। যখন-তখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে এদিক-সেদিক বেঁকে যাচ্ছে। ফলে হাঁটুতে অস্বাভাবিক চাপ পড়ছে। ক্ষয়ে যাচ্ছে হাঁটুর মালাইচাকির পেছনের কার্টিলেজ। অস্টিও-আর্থ্রাইটিস দেখা দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, গোড়ালি, হাঁটু ও কোমর ঠিক রাখতে মেয়েদের জন্য পাম্পু শু বা ব্যাকস্ট্র্যাপ দেওয়া কম হিলের জুতা সবচেয়ে ভালো। তারা আরও জানিয়েছেন, হিল পরার ইচ্ছা হতেই পারে, তবে তার জন্য একটু সতর্ক থাকা দরকার। যেখানে অল্প হাঁটতে হবে, সেখানে উঁচু হিল পরা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিদিনের হাঁটাহাঁটির ক্ষেত্রে সামান্য উঁচু বা ফ্ল্যাট জুতাই থাকুক।
হাই হিল পরতে পরতে যদি পায়ের ব্যাথা কয়েক দিনের বেশি সময় ধরে কষ্ট দেয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।