সাড়ে পাঁচ হাজার ইরাকি বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে মোসাদ-সিআইএ
২০০৩ সালে ইরাকে ইঙ্গ-মার্কিন দখলদারিত্বের পর থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে।
বৃটেনের ম্যাগাজিন পলিটিক অবজারভার ইরানের আরবি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘আলআলম’-এর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পরের দিন থেকে এ পর্যন্ত সিআইএ ও মোসাদ সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে। তাদের সবাইকে ইরাকের ভেতরেই হত্যা করা হয়।
ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন মোসাদের হাতে। ইহুদিবাদী ইসরাইলের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশেই তাদের হত্যা করেছে মোসাদ। মোসাদ ইরাকের বিজ্ঞানী, গবেষক, চিন্তাবিদ, চিকিৎসক ও বিশেষ করে পরমাণু ও রাসায়নিক বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের হত্যার জন্য এই মুসলিম দেশটিত গোপনে বহু ঘাতক চক্র পাঠিয়েছিল।
অবজারভারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের হত্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। সিআইএ ইরাকের ওই বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের হত্যার ফাঁদ পাতার জন্য তাদেরকে নানা লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে ধোঁকা দিত। যেমন, তাদেরকে আমেরিকায় চাকরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হতো এবং প্রস্তাবে তাদের জীবনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হতো। যেসব বিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞ এইসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতেন, তাদের পেছনে ঘাতক লেলিয়ে দেয়া হতো এবং পর্যায়ক্রমে তাদের হত্যা করা হতো।
অবজারভারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকি বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের হত্যায় তৃতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে খোদ ইরাকেরই একদল ঘাতক যারা বিদেশীদের নির্দেশে স্বদেশের ওই অমূল্য মানব-সম্পদ বিনাশ করেছেন।
ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসক ড. মাহমুদ আল আব্বাস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “ইরাকের বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের হত্যায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তারা বিশ্বজুড়েই এ ধরণের সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য কুখ্যাত। মোসাদ অতীতেও ইরাকের অনেক বিজ্ঞানী ও অধ্যাপককে বাগদাদসহ বিভিন্ন অঞ্চলে হত্যা করেছে। সূত্র: আইআরআইবি।