দণ্ডিত হলে তিন ব্লগারের ১০ বছরের জেল
আদালতে দণ্ডিত হলে ইসলাম ও মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এবং হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন ব্লগার মশিউর রহমান বিপ্লব (ব্লগে নাম: শয়তান), রাসেল পারভেজ (অপবাক) ও সুব্রত অধিকারী শুভর (সুব্রত শুভ ও লালু কসাই) ১০ বছরের জেল ও কোটি টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত তিন ব্লগারের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬’ এর ৫৭ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হবে।
এ আইনে দোষী সাব্যস্তদের সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ডে ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
সূত্র জানায়, ৫৭ ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি দিলে তার এ ধরনের কাজকে অপরাধ গণ্য করার সুযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, সোমবার রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ঢাকার রাজধানীর ইন্দিরা রোড, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার মনিপুরি পাড়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় সংলগ্ন পলাশী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা একটি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ, দুটি মডেম ও এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভে অপরাধ প্রমাণ করার মত যথেষ্ঠ উপাদান পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত তিন ব্লগারের ধর্ম অবমাননামূলক ব্লগিংয়ের ব্যাপারে ডিবি পুলিশের উপকমিশনার (গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য) মোল্যা নজরুল জানান, গ্রেপ্তারকৃত মশিউর রহমান বিপ্লব ওরফে শয়তান ওরফে আল্লামা শয়তান ওরফে নেমেসিস, রাসেল পারভেজ ওরফে রাসেল… ওরফে অপবাক ও সুব্রত অধিকারী শুভ ওরফে আজাদ ওরফে লালু কসাই ওরফে সাদা মুখোশ ওরফে সুব্রত শুভ নামে ব্লগিং করতেন। তারা ‘প্রকৃতিবাদ’ নামক নাস্তিকতায় বিশ্বাসী ছিলেন।
তারা ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখির মাধ্যমে ইসলামসহ বিভিন্ন প্রবর্তকদের বিতর্কিতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করে আসছে।
ঢাকার পল্লবী থানা এলাকায় ব্লগার রাজিব হায়দার শোভন ওরফে থাবা বাবা এবং উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনের ওপর দুস্কৃতিকারীরা হামলা চালানোর পরে তাদের ওপর নজরদারি করে আসছিল পুলিশ।
তিন ব্লগারের লেখায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ বিরোধী উপাদান থাকায় তাদের বিভিন্ন আলামতসহ গ্রেপ্তার করা হয়।