জিএসপি পেতে বিল্ডিং কোডের শর্ত পূরণে সময় লাগবেঃ বাণিজ্যমন্ত্রী

Tofayel Ahmed তোফায়েল আহমেদসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মার্কিন বাজারে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধা জিএসপি ফিরে পেতে অন্যান্য সব শর্ত পূরণ করা সম্ভব হলেও পোশাক কারখানা ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত সংক্রান্ত বিল্ডিং কোডের শর্ত বাস্তবায়নে সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স ফোরাম ফর আরএমজি’ এর এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী। বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্ন, জাতীয় শ্রমিক জোটের প্রেসিডেন্ট ও সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার এবং শ্রম সচিব মিকাইল শিপার ও বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে অ্যাকশন পল্টান অনুযায়ী বেঁধে দেয়া ১৬ শর্তের মধ্যে তিনটি শর্ত পূরণ বাকি রয়েছে। এগুলো চলতি মাসের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু পোশাক কারখানা ভবনের নিরাপত্তার জন্য বিল্ডিং কোডের শর্তটি পূরণ করতে সময় লাগবে। এটা দীর্ঘমেয়াদী ব্যাপার। এটা এক-দুই দিনে হবে না, পর্যায়ক্রমে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী কারখানা নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জের বাউশিয়ায় গার্মেন্টস পল্লী করার জন্য ৫শ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এটা হলে আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা সব ধরনের সুবিধা ও অধিকার পাবেন। কিন্তু এটা বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রায় ৮শ কোটি টাকা প্রয়োজন। চীন এতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা তাদের আগ্রহকে বিবেচনা করছি।
এদিকে আবারো বাণিজ্যমন্ত্রী বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্ববাজারে সুনামের সঙ্গে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আমাদের এ শিল্পটি এখন বেশ বড়। এখানে ৪৪ লাখের বেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু আমাদের এ সাফল্য অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী দেশিয় পোশাক শিল্প মালিক ও শ্রমিকসহ সকলকে আরো সচেতন ও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন।
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় ব্রান্ড। চিলিতে আমরা শুল্কমুক্ত কোটা সুবিধা পেতে যাচ্ছি। এছাড়া বালি প্যাকেজের আওতায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতেও এই সুবিধা আমরা অচিরেই পেতে যাচ্ছি। এগুলো হলে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরো বাড়বে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিজেএমইএ’র জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মান্নান কচি, বিকেএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান বেপজার মহাব্যবস্থাপক মো. নুরুল হক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা, চেয়ারম্যান (ইনচার্জ) মো. হেলাল উদ্দিন, বিসিকের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান সুভাশিষ বোস, ডিজি এস এম মাহবুবুর রহমান এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এর প্রতিনিধি হাসিনা বেগমসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ