ক্ষুদার জ্বালায় কুকুর –বিড়াল খেতে হচ্ছে সিরীয় শরণার্থীদের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ক্ষুদার জ্বালায় কুকুর-বিড়ালের মাংস খেতে বাধ্য হচ্ছেন সিরিয়ার শরণার্থীরা। সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ তুলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, শরণার্থীদের অনাহারে রেখে বিরোধীদের উপর চাপ তৈরি করছে বাশার আল-আসাদ প্রশাসন৷
অ্যামনেস্টি বলছে, একটি শরণার্থী শিবিরে মারা গিয়েছেন ১২৮ জন৷ প্রত্যক্ষ ভাবে বা পরোক্ষভাবে যার নেপথ্যে রয়েছে তীব্র অনাহার৷ সোমবার অপহৃত ১৩ জন সন্ন্যাসিনীকে মুক্তি দিয়েছে সিরিয়ার বিরোধীরা৷ তারা নিরাপদে দামেস্কে ফিরেছেন৷
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অভিযোগে রীতিমতো বিব্রত বাশার প্রশাসন৷ একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, দামেস্কের ঠিক বাইরে ইয়ারমুক শরণার্থী শিবিরে মারা গিয়েছেন ১২৮ জন৷ অভিযোগ, মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অনাহার৷ বিরোধীদের চাপে ফেলতে শরণার্থীদের অনাহারে রাখার কৌশল নিয়েছে সিরিয়া সরকার৷ শুধু ইয়ারমুকই নয়, অ্যামনেস্টির দাবি, একাধিক শরণার্থী শিবির ‘তীব্র মানবাধিকার সঙ্কটে’র মুখে দাঁড়িয়ে৷ স্নাইপারের ঝুঁকি নিয়েই শরণার্থীদের খাবারের সন্ধানে রাস্তায় বেরোতে বাধ্য করা হচ্ছে৷
ফিলিস্তিনি ও সিরীয় মিলিয়ে ইয়ারমুকে প্রায় ২০ হাজার শরণার্থী রয়েছেন৷ সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে এই শিবিরে৷ ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে এই ক্যাম্পে বিদ্যুত্ নেই৷ প্রাথমিক ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এলাকার প্রায় সবক’টি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ বাকিগুলি চলছে ধুঁকে ধুঁকে৷