শিগগিরই জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যবস্থা গ্রহন

খুব শিগগিরই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, “জামায়াত-শিবির কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তারা ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী সংগঠন। এখনই তাদের নিষিদ্ধের সময়। সরকারের পক্ষ থেকে খুব শিগগিরই তাদের নিষিদ্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর দিলকুশার বলাকা ভবনের সামনে শ্রমিক লীগ আয়োজিত হরতাল বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের মুখপত্র হানিফ বলেন, “ আপনারা নিজেরাই নেত্রীর গুলশানের কার্যালয়ের গুলি করলেন। আবার তা নিয়ে সোমবার বিক্ষোভ করলেন। সেখানে গাড়ী পুড়িয়ে নাটক করলেন।”

“আওয়ামী লীগ এটা কেন করবে? এটা করে আওয়ামী লীগের কি লাভ? আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী বা গুলি ফোটানোর দল নয়। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দল নয়” মন্তব্য করেন তিনি।

১৮ দলের ডাকা মঙ্গলবার হরতাল প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, “বিরোধী দলের নেত্রীর কাছে আমরা ও দেশবাসী জানতে চায় কেন এই হরতাল? ফ্যাসিস্ট একটি সংগঠনের নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার প্রতিবাদেই আপনি হরতাল ডাকলেন। তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আপনি তাদের রক্ষা করতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্যে তো নাটক তৈরী করার দরকার নেই।”

রাজশাহীতে পুলিশের উপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজশাহী পুলিশের ওপর যেভাবে হামলা করা হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাই এই মুহুতে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”

হানিফ বলেন, “এ হামলার প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি আবারো প্রমান করেছে তারাও এ সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যাত্রুমকে সমর্থন দিয়েছেন। বিএনপিও চায় পুলিশের মনোবল ব্যর্থ করে দেশকে পাকিস্তানি রাষ্ট্রে পরিণত করতে।”

“খালেদা জিয়ার এই স্বপ্ন বাস্তাবায়ন করতে দেওয়া হবে না” বলেন তিনি।

হরতালসহ ধ্বংসক কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শান্তির পথে আসার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, “সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক মন্টু সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজল হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।