মহম্মদপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, মাগুরাঃ ঝামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অলক সাহা নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিজের স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও পোস্টারিং করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে প্রধান শিক্ষকের হস্তক্ষেপে তারা শ্রেণি কক্ষে ফিরে আসে।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বাঁচাতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। এই ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা ছাত্রীর বাবা বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানালেও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারছেন না।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, বিদ্যালেয়ের সহকারি শিক্ষক অলোক সাহার কাছে তাদের মেয়ে প্রাইভেট পড়ত। গত বুধবার ভোরে স্কুলের পাশের বাসায় সে পড়তে যায়। তাকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক কু-প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পরিবারের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। এই ঘটনার পর ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী বিদ্যালয়ে আর আসেনি।
এই ঘটনায় অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাচ্ছেন না।
ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার শিক্ষক-অভিভাবক স্কুল ও আশপাশের এলাকায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে পোস্টারিং করেছে।
ধর্ষিতার বাবা জানান, মেয়েকে স্কুলে পড়তে দিয়ে সব শেষ হয়ে গেল। শিক্ষকের কাছে যদি ছাত্রীর নিরাপত্তা না পাই তাহলে আমরা কোথায় যাবো ।
ঝামা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
মহম্মদপুর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে দেখব।