দুঃখ ভুলে শতভাগ দিতে মুখিয়ে মাশরাফি
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ইনজুরি তার নিত্যসঙ্গী। ইনজুরিতে না পড়লে সাকিব কিংবা মুশফিকের বদলে বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকতে পারতেন মাশরাফি বিন মর্তুজাই। কিন্তু চোটের জন্য দলেই নিয়মিত নন তিনি। এমনকি চোটের কারণে দেশের মাটিতে ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা হয়নি মাশরাফির। এবার দেশের মাটিতে রোমাঞ্চকর টি-টোয়েন্টি আসরে খেলার সুযোগ পেয়েও সে আক্ষেপ ঘোচেনি। আজ মিরপুরে অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন সেই অতৃপ্তিটাই,‘ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে না পারাটাই আমার মধ্যে বেশি কাজ করে। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো তুলনাই হয় না। তবে কি পেয়েছি, না পেয়েছি সে হিসেব আমি মেলাতে চাই না। আমি যদি খেলি, শতভাগ দিয়ে খেলবো। কারণ, এখানে ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা জড়িয়ে আছে।”
পায়ে ব্যথা পাওয়ায় এক ম্যাচের পরই এশিয়া কাপ শেষ হয়ে যায় মাশরাফির। চোট প্রায় কাটিয়ে ওঠা এই পেসারই বাংলাদেশের অন্যতম বোলিং ভরসা। তবে সেরা একাদশে থাকবেন কিনা এখনও নিশ্চিত নন মাশরাফি,‘ যদি প্রয়োজন হয় খেলতেই হবে। আমি সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি। আমি যে অবস্থাতেই খেলি না কেন, আমার শতভাগ দিয়েই খেলবো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বলে নয়, দেশের জন্য আমি শতভাগ ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত।পায়ের ব্যথাটা এখন অনেক কমেছে। তিনদিন ধরে নেটে বলও করছি আমি। যারা আছে তাদেরকে আমি আমার চেয়ে বড় করে দেখি। আমি বিশ্বাস করি যারা খেলে তারা অবশ্যই ভালো। সবার আলাদা দক্ষতা বা যোগ্যতা থাকে টিমকে দেওয়ার জন্যে। আমি বিশ্বাস করি যারা বাংলাদেশ টিমের জার্সি গায়ে দেয় তাদের একটা দায়িত্ব থাকে দলকে জেতানোর জন্যে।’
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও ভালো করতে চান তিনি,‘আমি আশা করি আমার উপরের ব্যাটসম্যানরাই পুরো ইনিংষ খেলে যাবে, আমার নামার দরকার পড়বে না। তারপরও যদি নামা লাগে আশা করি আমি আমার সাধ্যমতো ব্যাটিং করার চেষ্টা করব।’
আফগানিস্তানকে নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন পুরো বাংলাদেশ। ১৬ মার্চ তাদের সাথে হারলেই শেষ হয়ে যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। তবে মাশরাফি শুধু আফগানিস্তান নন ভাবছেন অন্য দলগুলো নিয়েও,‘ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের প্রথম ম্যাচটা জিততে হবে। ওরা বেশি শট নিয়ে খেলে বলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পরবর্তী যে দুটা আছে সেগুলোও জিততে হবে। সুপার টেনে যাওয়াটা আমাদের জন্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। তাহলে আমদের আত্মবিশ্বসটা আরো ভালো হবে।’