বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি, রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা নিয়ে জারি করা রুল শুনানিতে ৭ অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলাটির শুনানিতে সাত এ্যামকাসকিউরি নিয়োগ দিয়ে আদেশ দেন।
সাত অ্যামিকাস কিউরিরা হচ্ছেন, বিশিষ্ট আইনজীবী ড.কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা কেন সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না-জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা অনুসারে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়।
রুলে বিবাদীরা হচ্ছেন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদনটি করেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার খবরের সূত্রে এ রিটটি করা হয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৩ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। আর সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আলামিন সরকার।
ওইদিন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম বলেন, এককভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচন সংক্রান্ত ১৯ ধারা কেন সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না-তা রুলে জানতে চেয়েছেন আদালত।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা অনুসারে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর এককপ্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। এটি সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১, ৬৫ (২), ১২১ ও ১২২ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
রিট আবেদনকারী খন্দকার আবদুস সালাম সাংবাদিকদের এর আগে বলেছিলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়। সংবিধানে আছে, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন জনগণের ভোট দ্বারা। এভাবে প্রার্থী নির্বাচিত করার কারণে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকছে না। তিনি বলেন, যারা এককভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন তা হচ্ছে সমঝোতার ভিত্তিতে। গণতন্ত্রে একক প্রার্থিতার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী একক প্রার্থিতার বিষয়টি সমর্থন করছেন। রিট আবেদনে আমি বলেছি যেখানে একক প্রার্থিতা রয়েছে সেখানে হ্যাঁ বা না ভোটের বিধান রাখতে হবে।