৮৩ উপজেলায় মধ্যরাত থেকেই সেনাবাহিনী
বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে বুধবার মধ্যরাত থেকেই ৮৩টি উপজেলায় মাঠে নামবে সেনাবাহিনী।
এছাড়া নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ৪১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার মো. আবু হাফিজ এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, নির্বাচনকালীন সংশ্লিষ্ট উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা সদস্যরা মাঠে থাকবে।
নির্বাচনের দুই দিন আগে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী দুই দিন মোট পাঁচ দিন সেনা সদস্যরা মাঠে থাকবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জানায়, প্রতি উপজেলায় এক প্লাটুন করে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতি প্লাটুনে ৩৪ জন করে সেনা সদস্য থাকবে।
তৃতীয় পর্যায়ে উপজেলা নির্বাচনে আগামী ১৫ মার্চ ভোট হবে।
৮৩টি উপজেলায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (১২টার পর) থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে। স্থানীয় সরকার পর্যায়ের সব নির্বাচনে আচরণবিধি লংঘনের বিষয়টি তদারকি করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসব কর্মকর্তা নির্বাচনী এলাকায় মোবাইলটিম করে টহল দেবেন। তাদের উপস্থিতিতে কোনো প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বিধি ভঙ্গ করলে এবং দায় স্বীকার করলে শাস্তি দিতে পারবেন তারা। সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড দিতে পারবেন তারা।
এছাড়া বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম তদন্তে সামারি ট্রায়ালের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক সাজা ও অর্থদণ্ড দিতে পারবেন। এসব কর্মকর্তা নির্বাচনী এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আচরণবিধি লংঘন কিংবা গুরুতর অপরাধ করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অনিয়ম তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডেকে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি করতে পারবেন। অভিযোগের সত্যতা মিললে ট্রাইব্যুনাল সর্বোচ্চ ৭ বছর সাজা, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড দিতে পারবেন।
উপজেলাগুলো হলো ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর, দিনাজপুর সদর ও নবাবগঞ্জ, নীলফামারী সদর, লালমনিরহাটের আদিতমারী, কুড়িগ্রামের সদর, রৌমারী ও চিলমারী, গাইবান্ধার সদর ও সাদুল্লাপুর, জয়পুর হাটের আক্কেলপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর, ভোলাহাট ও শিবগঞ্জ, নওগাঁর মান্দা, পোরশা ও ধামইরহাট, রাজশাহীর গোদাগাড়ি, চারঘাট ও দুর্গাপুর, চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা, যশোরের মনিরামপুর, নড়াইলের লোহাগড়া, বাগেরহাটের সদর, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা ও শরণখোলা, খুলনার পাইকগাছা, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ, ভোলার সদর, বরিশালের মুলাদী, হিজলা ও বাবুগঞ্জ, পিরোজপুরের নেছারাবাদ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, শেরপুরের শ্রীবর্দী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, গৌরীপুর, মুক্তাগাছা, ফুলপুর ও ধোবাউড়া, নেত্রকোনার সদর ও মোহনগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের সদর, কুলিয়ারচর ও হোসেনপুর, গাজীপুরের শ্রীপুর, ফরিদপুরের সদর, আলফাডাংগা ও সদরপুর, চরভদ্রাসন, ভাংগা ও মধুখালী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, শরীয়তপুরের সদর ও নড়িয়া, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ ও দ. সুরমা, মৌলভীবাজারের বড়লেখা, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী ও দেলদুয়ার, কুমিল্লার নাংগলকোট, হোমনা, বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম,ব্রাহ্মণপাড়া, তিতাস, চাঁদপুরের কচুয়া ও হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর সেনবাগ, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সীতাকুন্ড, রাঙ্গামাটির বরকল, বাঘাইছড়ি ও কাউখালি, মানিকগঞ্জের ঘিওর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, ফেনীর দাগনভূঁইয়া এবং বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর ও আলী কদম।