পাইলট ‘গুডনাইট’ বলার কিছুক্ষণ পরই উধাও হয় বিমানটি

Pilot বিমান চালকআন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ‘অলরাইট, গুড নাইট’- এটাই ছিল মালয়েশিয়ার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ এর পাইলটের বলা শেষ বাক্য।

পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ওই উড়োজাহাজের চীনা যাত্রীদের উদ্বিগ্ন স্বজনদের সঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারের এক বৈঠকে বুধবার প্রথমবারের মতো এই তথ্য জানানো হয়।

শনিবার প্রথম প্রহরে ক্রুসহ ২৩৯জন আরোহী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক পর বোয়িং ৭৭৭ বিমানটির সঙ্গে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রক কক্ষের সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিমানে থাকা ১৪টি দেশের নাগরিকদের মধ্যে অন্তত ১৫২ জনই চীনের।

গত পাঁচ দিনেও বিমানটির কোনো সন্ধান না মেলায় উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ স্বজনদের অনুরোধে বুধবার বেইজিংয়ের মেট্রোপার্ক লিডো হোটেলে মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ এই বৈঠকে বসে। চীনে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইসকান্দর সারুদিনসহ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইনের খবরে জানানো হয়।

পত্রিকাটি লিখেছে, প্রায় চারশ স্বজনের উপস্থিতিতে প্রায় দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে যতো উত্তর পাওয়া গেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্নের উদয় হয়েছে।

মালয়েশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা বৈঠকে জানান, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে বেইজিংগামী বিমানটির শেষবার যোগাযোগ হয় ওই রাতে ১টা ২০ মিনিটে।

নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ককপিটে জানানো হয়, ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ ভিয়েতনামের আকাশ সীমায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে এবং এরপর থেকে হো চি মিন সিটির এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিভাগ যোগাযোগের দায়িত্ব নেবে।

জবাবে বিমানটির পাইলট মালয়েশিয়ার নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে শুভরাত্রি জানান।  এর কিছুক্ষণ পর রেডার স্ক্রিন থেকে ‘উধাও’ হয়ে যায় বিমানটি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান, বিমান ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটলে ছিনতাইকারীরা ককপিটের দখল নিয়ে বিমান থেকে যোগাযোগের পথ বন্ধ করে দিতে পারে। তবে তারপরও পাইলট গোপনে ‘মে ডে’ কোড ( বিপদ সংকেত)  পাঠাতে পারেন।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুও ঘটেনি। কোনো ‘ক্লু’ না রেখেই স্রেফ উধাও হয়ে গেছে বিমানটি।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ