দেশে মধ্যম পর্যায়ের দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাব রয়েছে : গভর্নর
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, যে সব প্রতিষ্ঠান দক্ষ জনশক্তি গঠনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তদের অর্থের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এর পুনঃঅর্থায়নের তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার আইডিইবি কাউন্সিল হলে আইডিইবি আয়োজিত উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মশালা উদ্বোধনকালে গভর্নর এ সব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) সভাপতি এ. কে. এম এ হামিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ম. হামিদ, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও অ্যান্ট্রিপ্রিনিউয়ারশিপ অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’র বর্তমান চেয়ারম্যান সবুর খান প্রমুখ।
ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তা পাওয়া যায় না। ফলে এসব কর্মকর্তার জায়গা পূরণ করতে বিদেশ থেকে লোক আনতে হয়। ফলে দেশের অনেক বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যায়। তাই তিনি দেশের কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যেশ্যে বলেন, আপনার তথ্য-প্রযুক্তি সম্পন্ন জ্ঞান দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন। তাহলে এসব কর্মকর্তার জায়গা দেশীয় জনগণ দিয়ে পুরণ করা যাবে। এটি বাস্তাবায়িত হলে দেশের অনেক অর্থ বেঁচে যাবে।
গভর্নর বলেন, ছোট্ট এই বাংলাদেশে অধিক জনসংখ্যার বসবাস। আপাতদৃষ্টে এটি একটি সমস্যা। তবে এ জনসংখ্যার মধ্যেও রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। বর্তমানে আমাদের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই কর্মক্ষম। এ ধরনের সুযোগকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বলে। চীন ও ভারতের মতো দেশেও এ সুযোগ এসেছিল। তারা এটিকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন সূচকে আমাদের অগ্রগতি উৎসাহব্যঞ্জক। রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত রাখা গেলে আমাদের সাফল্য আরো বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমাদের জন্যে একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। তাই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ডিসিসিআইকে সঙ্গে নিয়ে আইডিইবি’র এক হাজার নতুন শিল্প উদ্যোক্তা সৃষ্টির এ প্রকল্প অন্যান্য সংগঠনের জন্যে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ ছাড়াও অন্যান্য সংগঠনকেও এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান গভর্নর।