২২ মার্চ গণমাধ্যমে ৩ ঘণ্টার কর্মবিরতি

Pressসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ৮ম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন ও অসঙ্গতি দূর করার লক্ষ্যে ২২ মার্চ সব গণমাধ্যমে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশ পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক নেতারা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদিক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সরকার ৮ম ওয়েজবোর্ড গেজেট আকারে প্রকাশ করে। ৮ম ওয়েজবোর্ড গঠনে নীতি অনুসরণ করা হয়নি। অতীতে ওয়েজবোর্ড ড্রাফট কপি গেজেটে সংশোধন করা হলেও এবার তা করা হয়নি।

তারা আরো অভিযোগ করেন, সংবাদপত্রের শ্রেণী বিন্যাসের ক্ষেত্রে সদস্যদের মতামত দেয়া হয়নি। চেয়ারম্যান ইচ্ছামতো সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার শ্রেণী বিন্যাসে ক, খ ও গ শ্রেণী থেকে ঘ, ঙ আরো দুইটি শ্রেণী সংযুক্ত করেছে।

ক শ্রেণীর পত্রিকার বার্ষিক আয় ৪ কোটি থেকে ২৫ কোটিতে উন্নীত করেছেন। কিন্তু প্রথম শ্রেণীর পত্রিকাগুলোর বার্ষিক আয় ৪ কোটি থেকে ২৫ কোটি পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়নি।

ফলে যেসব পত্রিকা দীর্ঘদিন ধরে প্রথম শ্রেণীর পত্রিকা হিসেবে সুনামের সাথে প্রকাশিত ও সাংবাদিক কর্মচারীরা প্রথম শ্রেণীর বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছেন, তারা তা আর পাবেন না। তেমনি সাংবাদিক কর্মচারীরা আগের মতো বেতন-ভাতা পাবেন না। ৮ম ওয়েজবোর্ডের কারণে অধিকাংশ পত্রিকা আগের অবস্থান থেকে অনেক নিচে নেমে আসবে।

৮ম ওয়েজবোর্ড সাংবাদিক কর্মচারীদের স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে নেতারা বলেন, ওয়েজবোর্ড গঠন করলে সাংবাদিক-কর্মচারীরা বেনিফিসিয়ারি হয়ে থাকেন। কিন্তু এ ওয়েজবোর্ড কেবল সংবাদপত্র মালিকদের জন্য। যেখানে মালিকদের বিজ্ঞাপন প্রতি ইঞ্চি ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ও নিউজপ্রিন্ট ৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানো হয়েছে। অতীতে বেতন-ভাতার সাথে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেলেও এবার তা হয়নি। ৮ম ওয়েজবোর্ডের নামে গণমাধ্যম কর্মীদের ছাটাই, স্থায়ী কর্মচারীদের অস্থায়ীভিত্তিতে নিয়োগ, মাসের পর মাস বেতন-ভাতা পরিশোধন না করার অভিযোগ করেন তারা।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে আন্দোলন চলবে। সরকার দাবি বাস্তবায়ন না করলে ২২ মার্চ সকল গণমাধ্যমে সকাল ১১ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হবে। পাশাপাশি একই দিন সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপরও দাবি আদায় না হলে ২২ মার্চের পর কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ার করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কো-কনভেনার রুহুল আমিন গাজী। অন্যদের মধ্যে ছিলেন- সংগঠনের কো-কনভেনার মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মো. আলমগীর হোসেন খান, সদস্য সচিব মো. মতিউর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, সদস্য মো. খায়রুল ইসলাম, আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, আলতাফ মাহমুদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ