রোদ চশমা কেনায় সতর্কতা
লাইফস্টাইল ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চোখের সুস্থতা ধরে রাখতে এই গরমে চাই সানগ্লাস বা রোদ চশমা। আর সেটা ফ্যাশনের হলে তো দারুণ। সানগ্লাস দিয়েই ফুটিয়ে তোলা যায় নিজের রুচি। তবে এর উপকারিতা অস্বীকার করা যাবে না। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রেহাই পেতে রোদ চশমা ব্যবহার হয়। বাজার থেকে যেকোনো একটা চশমা কিনে ফেললেই হলো না। জেনে নিতে হবে এর কার্যকারিতা বিষয়েও—
প্রথমেই জেনে নিন অতিবেগুনি রশ্মি (ইউভি) মোকাবেলায় এ রোদচশমা কতটা সহায়ক। যদি চশমার গায়ে লেখা থাকে অতিবেগুনি রশ্মি শোষণক্ষমতা ৯৯-১০০ ভাগ অথবা কোনো কোনো চশমায় লেখা থাকে ইউভি ৪০০, যার অর্থ ৪০০ তরঙ্গের আওতাধীন সূর্যরশ্মি প্রতিরোধ করে। এর আওতায় অতিবেগুনি রশ্মিও থাকে। কোনো চশমার লেবেলে যদি লেখা থাকে ‘ইউভি শোষণকারী’, তবে সেটা না কেনাই শ্রেয়।
সাধারণত গাড়ি চালানোর জন্যই পোলারাইজড রোদ চশমা উপযোগী। যদি বৃষ্টির দিন হয় অথবা সমুদ্রে নামতে চান রোদচশমা চোখে দিয়ে, তবে পোলারাইজড লেখা দেখে কিনুন।
লেন্সের রঙও কিন্তু বিবেচনা করতে হবে। একেবারে ঘন কালো রঙের রোদচশমা মানেই চোখের সুরক্ষা নয়। বরং বিশেষ রঙ বিশেষ পরিবেশে উপযোগী। তুলনায় ধূসর, সবুজ, হলুদ, গোলাপি ইত্যাদি শেডের চশমা অধিক কাজে আসবে। ব্যক্তিগত পছন্দ রক্ষার পাশাপাশি এসব চশমা বিশেষ আলোয় বিশেষ সুবিধা দেবে।
বড় ফ্রেমের রোদচশমার চল এখন বেশি। একেবারে চোখের মাপের রোদচশমা অনেকেই পরে থাকেন যদিও। তবে বড় ফ্রেমই বেশি উপকারী। কারণ তা চারপাশ থেকে চোখকে রক্ষা করে। দুই পাশে বাঁকানো অথবা চশমার ডাঁটি যদি একটু চওড়া হয়, তাহলেও তা চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। ফলে বড় ফ্রেমই ভালো ভূমিকা রাখে চোখ রক্ষায়।