পদ্মার একাংশে খবরদারি বিএসএফ’র!

Rajshahi podda রাজশাহী পদ্মাসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ রাজশাহীতে পদ্মা নদীর কিছু অংশ ভেঙে ভারত সীমান্ত স্পর্শ করায় ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ সেখানে দখলদায়িত্ব কায়েম করছে।

রাজশাহীতে গত বর্ষায় পদ্মা নদীর দক্ষিণ সীমান্তের ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫০০ মিটার প্রস্থ বাংলাদেশের ভূখণ্ড পদ্মায় হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওই ভাঙনে চরমাজারদিয়ার ও চরখানপুরের মধ্যবর্তী কলাবাগান এলাকার ১৬৪ নম্বর মেইন পিলার থেকে ১৬৫ নম্বর মেইন পিলার পর্যন্ত বাংলাদেশের ভূখণ্ড নদীতে বিলীন হয়ে ভারতীয় সীমানা স্পর্শ করে পদ্মার পানি। এর পর থেকেই পদ্মার ওই অংশে বিএসএফ নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে তৎপর হয়ে ওঠে। সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে সাধারণ মানুষ ও বিজিবি সদস্যদের নদীপথে চলাচলে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ।

বিএসএফের বাধায় নদীপথে সরাসরি রাজশাহীর সঙ্গে চরমাজারদিয়ার ও খানপুরবাসীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। রাজশাহী শহরে আসতে হলে তাদের এখন পদ্মার দুটি অংশ পাড়ি দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্গম বালুচর দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। নদীপথে বিজিবি সদস্যদেরও এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না বিএসএফ।

বিজিবির তালাইমারি কম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল হাশেম মোল্লা জানান, গত বর্ষা মৌসুমে খানপুর ও চরমাজারদিয়ার এলাকার ১৬৪ নম্বর মেইন পিলার থেকে ১৬৫ নম্বর মেইন পিলার পর্যন্ত ভেঙে ভারতীয় সীমানা স্পর্শ করে পদ্মার পানি। এরপর প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মোহনগঞ্জ থেকে বিএসএফ ক্যাম্প এনে নদীর তীরে স্থাপন করে। সেখানে ক্যাম্প স্থাপনের পর থেকে বিজিবি সদস্যদের নদীপথে খানপুর হয়ে মাজারদিয়ার যেতে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ।

রাজশাহী বিজিবির সেক্টর কমান্ডার এবিএম মিজানুর রহমান জানান, গত বর্ষায় পদ্মার ভাঙনে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫০০ মিটার প্রস্থ ভূখণ্ড নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। চরমাজারদিয়ার ও খানপুরের মধ্যবর্তী কলাপাড়া এলাকার ১৬৪ নম্বর মেইন পিলার থেকে ১৬৫ নম্বর মেইন পিলার পর্যন্ত ভেঙে ভারতের সীমানায় প্রবেশ করেছে পদ্মা। তাই সেদিক দিয়ে বাংলাদেশিদের চলাচলে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ। তিনি জানান, সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী মানুষের নিরাপত্তা এবং পদ্মার একক মালিকানা ধরে রাখতে নদীভাঙন রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে বড় ভূখণ্ডের পাশাপাশি দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, ১৭৪ কোটি টাকায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য রেখেছে। আগামী বর্ষা আসার আগেই প্রকল্পটি অনুমোদন হলে সীমান্তের ভূখণ্ড রক্ষা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ