আয়োজকের চ্যালেঞ্জেও জিতার আশা বাংলাদেশের
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আয়োজনে বরাবরই প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। ২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হিসেবে আন্তর্জাতিক প্রশংসা প্রাপ্তির অনন্য ল্যান্ডমার্কও আছে বাংলাদেশের।
এবারও ছোটখাটো ত্রুটি থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সফল আয়োজনের ব্যাপারে প্রবল আশাবাদী, ‘২০১১ বিশ্বকাপ আয়োজনের সঙ্গে এটা তুলনা করব না। ওটাও খুবই সফল আয়োজন ছিল, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিও সফলভাবে আয়োজনের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আমার বিশ্বাস এবারের টুর্নামেন্ট আয়োজন করে এটা বোঝাতে পারব যে বাংলাদেশ আইসিসির যেকোনো ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষমতা রাখে।’
২০১১ বিশ্বকাপটা ছিল সত্যিকারের। এ টুর্নামেন্টটিকে সরকারিভাবে বলা হয় আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি। বিশ্বের সেরা সব দলগুলোকে নিয়ে আয়োজন বলে সেটি বাংলাদেশের কাছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে ২৬টি দলের উপস্থিতি তাই ২০১১ বিশ্বকাপের চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জের মুছে ফেলেছে বিসিবিকে, ‘এ টুর্নামেন্টের কলেবর অনেক বড়। ২৬টি দল, আইসিসি ও বিভিন্ন বোর্ডের কর্মকর্তা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যাটা এবার অনেক বেশি। তাদের সবার আবাসন, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কাজের ব্যাপ্তি অনেক বেশি। এবার ম্যাচ সংখ্যাও বেশি, তাই চ্যালেঞ্জটাও বড়। তবে আমি আশাবাদী এ টুর্নামেন্টটাও সফলভাবে আয়োজন করতে পারবে বাংলাদেশ।’
২০১১ বিশ্বকাপ বলুন কিংবা ১৯৮৮ সালের এশিয়া কাপ-বড় মাপের যেকোনো আসরের সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকাটা এ দেশের ক্রিকেট অনুসারীদের। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এমন উত্তাল সমর্থন আর কোথাও দেখা যায় না। ১৯৯৮ সালে আইসিসি নকআউট টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে উদ্বোধনী ম্যাচেও দর্শকে পরিপূর্ণ ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি।
এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশ ছিটকে পড়ার পরও খুব একটা ভাটা পড়েনি দর্শক উপস্থিতিতে। নাচে-গানে ভরপুর টি-টোয়েন্টিতে জোয়ারের টান আরো বেশি থাকারই কথা। তার ওপর এমন অনুগত ‘স্বাগতিক’ও আর কোথাও পাবে না আইসিসি। যত রকম বায়নাক্কা করা হয়েছে এবং হচ্ছে, তার সবই মিটিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। আইসিসি থেকে যদি কাউকে ডেকে আনতে বলা হয়, তবে তাকে বেঁধে নিয়ে আসবে বিসিবি! তাতে কিছু ঝুট-ঝামেলা হয়। যেমন মাঠে ঢোকা নিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে অকারণ বাদানুবাদ হয়েছে দফায় দফায়। অবশ্য এটা টুর্নামেন্ট-পূর্ব নিত্যকার ছবি!
২০১১ বিশ্বকাপ শুরুর দৃশ্যটা অবশ্য একটু অন্য রকম ছিল। বহুল বিতর্কিত আলোকসজ্জা দেখতে মধ্যরাত পর্যন্ত স্টেডিয়াম-সংলগ্ন রাস্তা দখলে রেখেছিলেন সাধারণ মানুষ। এবারের আলোকসজ্জায় অত রং নেই, নেই সেই ভিড়ও। তবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচকে ঘিরে উৎসাহ এবং উদ্বেগের শেষ নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে আজকের এ ম্যাচটি দিয়েই শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টির আসর। তবে টুর্নামেন্টের সূচি বলছে এটি আদতে প্রাক-বাছাই ম্যাচ। এ পর্ব শেষ হলে ২১ মার্চ শুরু হবে আসল বিশ্বকাপ। সেটিও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দিয়ে।