আয়ারল্যান্ড শেষ বলের নাটকে জিম্বাবুয়েকে হারাল
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ তারা এখনও টেস্ট মর্যাদা পায়নি। তাতে কি? টি-টোয়েন্টিতে রীতিমত ভয়ংকর এক দলের নাম আয়ারল্যান্ড। বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে আসার এক সপ্তাহ আগে তারা হারিয়ে এসেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেই প্রেরণায় প্রাথমিক পর্বে সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেটে হারাল জিম্বাবুয়েকেও। টেস্ট খেলা কোন দলকে সহযোগি দেশের হারানোটা অঘটন হলেও আইরিশদের যা সামর্থ্য তাতে কিন্তু অপ্রত্যাশিত ছিল না এটা। জিম্বাবুয়ের ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জ আয়ারল্যান্ড পেরিয়ে যায় শেষ বলে। পল স্টারলিংয়ের ৩৪ বলে ৬০ রানের ঝড়ো ইনিংসেই ম্যাচটা হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল তাদের। এই জয়ে সুপার টেনে খেলার পথটা সহজ হয়ে গেল আইরিশদের।
জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে মাত্র ৭ রান দরকার ছিল আয়ারল্যান্ডের হাতে ৫ উইকেট। শেষ ওভারে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ৪ রানে। পানিয়াঙ্গারা তৃতীয় বলে থমসনকে বোল্ড করলে শেষ তিন বলে দরকার পড়ে ২ রান। চতুর্থ বলে রান আউট হন জয়েস সহজ ম্যাচটা ততক্ষণে কঠিন করে ফেলেছে আয়ারল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ে ম্যাচে ফিরে দারুণভাবে। পঞ্চম বলে ১ রান নেয়ায় স্কোর হয়ে যায় সমান। শেষ বলটাও ব্যাটে লাগাতে পারেননি ব্যাটসম্যান কুসাক । কিন্তু উইকেটরক্ষক টেলর বলটা স্টাম্পে লাগাতে না পারায় রুদ্ধশ্বাস জয় পায় আইরিশরা।
১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পোর্টারফিল্ড ও স্টারলিং ৮ ওভারেই যোগ করেছিলেন ৮০ রান। পোর্টারফিল্ড ২৩ বলে ৩১ ও স্টারলিং করেন ৩৪ বলে ৯ বাউন্ডারি ১ ছক্কায় ৬০ রান। বাকি কাজটা সারেন পয়েন্টার (২৩),এড জয়েস (২২) ও কেভিন ও’ব্রায়ান (১৭)। পানিয়াঙ্গারা নেন ৪ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্রেন্ডন টেলরের ফিফটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেটটি হারায় জিম্বাবুয়ে। ব্যক্তিগত ১০ রানে ওপেনার সিকান্দার রাজা শিকার হন অ্যালেক্স কোসাকের। এরপর হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও টেলর ৪২ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন। মাসাকাদজা ২১ রানে আউট হলে এই জুটি ভাঙে।
৩৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ও বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ফিফটি পান টেলর। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৬ বলে ছয় চার ও দুই ছয়ে ৫৯ রান করে ফিরেন ডকরেলের বলে। আইরিশদের হয়ে বল হাতে দুটি করে উইকেট পান জর্জ ডকরেল ও এন্ডি ম্যাকব্রিন।
আয়ারল্যান্ড সহযোগি দেশ হয়েও এর আগে সুপার এইট খেলেছিল বিশ্ব টি-টোয়েন্টির। বিপরীতে জিম্বাবুয়ের সেই সুযোগ হয়নি। এবারের হারে হয়ত আরও একবার প্রথম পর্ব থেকেই ফিরতে হবে তাদের।