আগামীকাল আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দুর্নীতির দুই মামলায় বুধবার আদালতে হাজিরা দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
ঢাকার বিশেষ জজ-৩ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়ের আদালতে এ শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আদালত খালেদা জিয়াকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫০ বার ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৩ বার সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী। মামলায় বলা হয়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া দুদকের অভিযোগপত্র গত বছরের ১৫ জানুয়ারি আমলে নেন আদালত।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এজহারে বলা হয়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’র নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। তবে জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে, যা কাগজপত্রে উল্লেখ করা হয়। এই টাকার বৈধ কোনও উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চার জনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বলা হয়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১০ সালের ৫ আগস্ট বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দদুক। অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২৬টি ধার্য তারিখ পার হলেও আইনি মারপ্যাচে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।
সর্বশেষ এ মামলায় খালেদা জিয়া গত বছরের ১১ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দেন। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে এ মামলাটি করেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৩৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।