রাশিয়ায় একিভূত হলো ক্রিমিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে গিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে একিভূত হলো ইউক্রেনের রুশ অধ্যূষিত স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল ক্রিমিয়া ও সেভাস্তোপোল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ক্রিমিয়ার নেতার মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিকে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত করা হলো।
এ উপলক্ষে রাশিয়ার পার্লামেন্টে এক যৌথ অধিবেশন আহবান করা হয়। পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিন্মকক্ষের সদস্যদের পাশপাশি এতে রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এক দীর্ঘ ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আমরা সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি যে, ক্রিমিয়া সর্বদা রাশিয়ার অবিভেদ্য অংশ ছিল। ঘন্টাব্যাপি ওই বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ক্রিমিয়ার গণভোট ছিল সম্পূর্ণ বৈধ। এ সময় ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতিক বন্ধনের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে ক্রেমলিন বলেছে, ক্রিমিয়া ও সেভাস্তোপোল এখন রাশিয়ার অংশ, ইউক্রেনের অংশ নয়। রুশ প্রেসিডেন্টর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা ঘোষণার পরও অঞ্চলটি নিয়ে পশ্চিমারা যা ভাবছে তা কখনো মনেও আনা যাবে না।
মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ক্রিমিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং সেভাস্তোপোলের মেয়রের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে ক্রেমলিন। এতে বলা হয়, ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের ঘাঁটি সেভাস্তোপোল এখন রাশিয়া ফেডারেশনের অংশ।
পার্লামেন্টে ভাষণের সময় ইউক্রেনের নতুন কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা করেন পুতিন। তিনি বলেন, নতুন কর্তৃপক্ষ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা চুরি করেছে। এছাড়া তারা ইউক্রেনে চরমপন্থা সৃষ্টির পথ উন্মুক্ত করেছে বলে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
পুতিন বলেন, রাশিয়া ক্রিমিয়ায় সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেনি। যদিও ইউক্রেন ও পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করছে। পুতিন বলেন, আমরা ক্রিমিয়ায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করিনি। ক্রিমিয়ার জনগণ তাদের ইচ্ছানুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময় জনগণের ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা না জানানোর কারণে পশ্চিমাদের সমালোচনা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
রোববার এক গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে রুশ ফেডারেশনে যোগ দেয়ার পক্ষে রায় দেন স্থানীয় জনগণ। পরের দিন সোমবার ক্রিমিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেন সেখানকার নেতারা। তারপরই মঙ্গলবার চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় যোগ দিলো অঞ্চলটি।