পিরোজপুরে ব্যাপক সহিংশতার আশংকা, ডিসি-এসপি জেলা ছাড়েছেন !
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ পিরোজপুর জেলার তিন উপজেলায় আর দু’দিন পর উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঝুকিপূর্ন এ অঞ্চলের নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার কোন কর্তা ব্যক্তিই এখন দায়িত্বে নেই। রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) এ কে এম শামিমূল হক সিদ্দিকী ছুটি নিয়ে ঢাকা এসেছেন। আর পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম আখতারুজ্জামান বদলির অর্ডার শুনে পিরোজপুর ছেড়েছেন।
আগামী ২৩ মার্চ (রোববার) অভিভাবকহীন পিরোজপুরের সদর, জিয়ানগর ও মঠবাড়িয়া উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, পিরোজপুরের এই তিন উপজেলায়ই ব্যাপক সহিংশতার আশংকা রয়েছে। সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত জেলা সদরের সংসদ সদস্য কে.এম আউয়ালের ছোট ভাই মজিবর রহমান খালেক। সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছ, ভাইকে বিজয়ী করতে সাংসদ নিজেই ঢাকা থেকে অনেক ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডারদের নিয়ে মাঠে নামিয়েছেন।
মানবতা অপরাধের অভিযোগে আটক জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ১৯ দলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছেন জেলার জিয়ানগর উপজেলা থেকে। এ কারণে এ্ই উপজেলার নির্বাচন অতি-গুরুত্বপূর্ন। এখানেও সহিংশতার আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করেছে। এছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলায়ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংসয় সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন। তিনিই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংশয় সৃষ্টি করেছেন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আশরাফুল এক সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক থাকার সুবাদে ঢাকা থেকে অনেক ক্যাডারকে মঠবাড়িয়াতে নিয়ে গেছেন। এছাড়া তার ছোট ভাই পুলিশের মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সাইফুল ইসলামও নির্বাচনী মাঠে থাকছেন। ছুটি নিয়ে তিনি এলাকায় যাচ্ছেন। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, এসব কারণে এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি হয়েছে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে অপ্রতুল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, তার উপর আবার ডিসি-এসপির জেলা শহরে না থাকায় আসন্ন এই উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংসয় দেখা দিয়েছে। সরকার বিরোধী প্রার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলেছেন, এ তিন উপজেলায় সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের ভরাডুবি হবে জেনে তারা এখানে ব্যাপক কারচুপির পরিকল্পনা করছে।