এইচএসসিতে আলাদা পাশের পদ্ধতি অবৈধ: হাইকোর্ট
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিষয়ে পৃথকভাবে তিনটি অংশে (নৈর্বিত্তিক, সৃজনশীল ও ব্যবহারিক) আলাদা করে পাশ করার পদ্ধতিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দিয়েছে। এই রায়ের ফলে শিক্ষা বোর্ড তিনটি অংশে আলাদা করে পাশ করার পদ্ধতিতে এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারবে না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সংশ্লিস্ট আইনজীবী শাহ মো. আহসানুর রহমান। তিনি বলেছেন, আইন অমান্য করে শিক্ষাবোর্ড ওই পদ্ধতি চালু করে।
রাজধানীর শুক্রাবাদের নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী ফারাহ তাসনিম রাইসার করা এক রিট আবেদনে দেওয়া রায় মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। রায়ে রাইসার খাতা পুনঃপরীক্ষা করে ফল পুনর্মূল্যায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রাইসার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, শাহ মো. আহসানুর রহমান ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান।
অপরদিকে সরকার ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ড. তৌফিক নেওয়াজ ও অ্যাডভোকেট এসএম মুনীর।
রাইসা ঢাকা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে গতবছর (২০১৩) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু তাকে একটি বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়। বর্তমান নিয়মে একটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে নৈর্বিত্তিকে ৩৫, সৃজনশীল-এ ৪০ ও ব্যবহারিকে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়। আলাদা করে প্রত্যেকটি অংশে পাশ করতে হয়। এ পদ্ধতিতে পরীক্ষার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাইসা পরীক্ষা পদ্ধতি (অবজেকটিভ, সৃজনশীল ও প্রাকটিক্যাল-এ আলাদা করে পাশ করার পদ্ধতি) চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে গতবছর। এরপর হাইকোর্ট ৭ অক্টোবর রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে কয়েকটি পর্যবেক্ষণসহ রায় দেন গত ২৯ জানুয়ারি। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী শাহ মোহাম্মদ আহসানুর রহমান বলেন, আবেদনকারী তাসনীম রাইসা ২০১৩ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেন। এজন্য আমরা বিজ্ঞানের ওই তিনটি বিষয়ে আলাদাভাবে পাস করার বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, কোনো গেজেট প্রকাশ ছাড়াই অন্যান্য বিষয়েও একই নিয়ম চালু করলে তা নিয়ে কেউ আদালতে আসলে তারাও এ রায়ের সুবিধা পাবেন।