হাজার বছর বেঁচে থাকে শৈবাল
সাইফ মাহমুদ, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মেরু অঞ্চলে বরফের ভেতর হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারে শৈবাল। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা সম্প্রতি এর প্রমাণ পেয়েছেন। কোনো উদ্ভিদের এত দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার এটাই প্রথম প্রমাণ। এর আগে কেবল ব্যাকটেরিয়ার এত বেশি কাল বেঁচে থাকার খবর জানা গিয়েছিল। খবর বিবিসির।
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে ও রিডিং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দেখেছেন, দেড় হাজার বছরের বেশি সময় ধরে কুমেরু অঞ্চলে বরফে জমে থাকা শৈবাল নতুন করে বেঁচে উঠতে ও বাড়তে পারে। দক্ষিণ মেরুতে সংরক্ষণাগারে জমিয়ে রাখা শৈবালের ওপর পরীক্ষা চালান তারা। সংরক্ষণের সময়ই এ শৈবালের বয়স ছিল শত বছর।
গবেষকরা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে দূষণ থেকে বাঁচিয়ে শৈবালকে কেটে ইনকিউবেটরে রাখেন। কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা সংরক্ষণাগার থেকে নেয়া আপাত মৃত শৈবালকে ১৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ইনকিউবেটরে রাখেন। গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ মেরুর শৈবালের গায়ে এ তাপ থাকে। তিন সপ্তাহ পরে শৈবালের নতুন কাণ্ড গজাতে দেখেন তারা। শৈবালকে বাঁচিয়ে তুলতে এর বেশি কিছু করা হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক পিটার কনভে বলেন, ‘আমরা মূলত শৈবালের মাঝামাঝি কেটেছি এবং ইনকিউবেটরে রেখে দিয়েছি। চেষ্টা করেছি খুব বেশি কিছু না করতে। দেখা যায়, স্বাভাবিক আলো ও তাপমাত্রায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শৈবাল আবার বেড়ে উঠতে শুরু করেছে। শৈবালের এত দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার তথ্য পৃথিবীতে প্রাণের টিকে থাকাসংক্রান্ত গবেষণায় নতুন আলোকসম্পাত ঘটাবে।’
উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে প্রাণের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ শৈবাল। বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে থাকা শৈবাল পৃথিবীর দুই প্রান্তের, বিশেষত উত্তর মেরুতে জড় জীবাশ্ম সংরক্ষণের এক প্রধান ভাণ্ডার।