বাংলাদেশ হংকংকে উড়িয়েই সুপার টেনে যেতে চায়
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ চৈত্রেই হঠাৎ ‘কাল বৈশাখি’ বয়ে গেল চট্টগ্রামে। এমন ঝড় আফগানিস্তান আর নেপালের উপর দিয়েও বইয়ে দিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। আজ আরো বড় ঝাপ্টাই যাওয়ার কথা হংকংয়ের ওপর দিয়ে। সে রকম কিছু করেই সুপার টেন, অর্থাৎ মূল পর্বের টিকিটটা হাতে নিতে চায় বাংলাদেশও।
টানা দুই ম্যাচ জিতেও যা গাণিতিকভাবে নিশ্চিত নয়। হংকং ম্যাচটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার এটিও একটি কারণ।
তবে আজ সামনে হংকং হলেও বাংলাদেশের চিন্তাজুড়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। ২০ মার্চের ম্যাচ খেলতে নামার সময় ২৫ মার্চের ভাবনাও গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ শিবিরের কাছে। সুপার টেন পর্বে গেলে সেদিনই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা খেলতে হবে মুশফিকুর রহিমদের। তার আগে যেসব জায়গায় নিজেদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়েছে, সেসবের ঝালাই-রঙ-রিপু করে নেওয়ার জন্য হংকং ম্যাচটিকেই কাজে লাগাতে চাইছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের সুপার টেনের হাইওয়ে থেকে ছিটকে যাওয়াটা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব কল্পনা।
তবু কল্পনাকে হার মানানোর ইচ্ছা মানুষের থাকে। যেমন আছে হংকং অধিনায়ক জেমি অ্যাটকিনসনেরও। এমন কিছুই করতে চান যেটা হবে ‘হংকংয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় তো বটেই, সম্ভবত বিশ্বকাপের সেরা অঘটনও হবে।’ তেমন কিছু ঘটলে সামনে চলে আসবে রানরেটের জটিল হিসাব-নিকাশও। এসব আলোচনা আছে বলেই হংকং ম্যাচটিকে ঠিক পুরোপুরি প্রস্তুতি ম্যাচ বলে ভাবতে পারছে না বাংলাদেশ!
অতীতে যখন রানরেট বিভীষিকা অনেক স্বপ্নভঙ্গের কারণ হয়েছে, তখন পা হড়কানোর আশঙ্কায় সতর্ক না হয়েও উপায় নেই কোনো। ২০১১-র ওয়ানডে বিশ্বকাপে যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমান পয়েন্ট হলেও শেষ পর্যন্ত রানরেটে পিছিয়ে পড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। সম্প্রতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও শ্রেয়তর রানরেটে বাংলাদেশকে প্লেটে নামিয়ে কাপ পর্বে উঠেছিল আফগানিস্তান।