আদালত তাজরিন চেয়ারম্যানের জামিন বাতিল করেছেন
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ তাজরিন ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তারের জামিন বাতিল করেছেন আদালত। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মজিদ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে মাহমুদা আক্তারকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার তাজুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম ইসমাঈল ২০ হাজার টাকা বন্ডে মাহমুদা আক্তার মিতার এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহের রোববার তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়।
১৩ মার্চ তার জামিন বাতিল বিষয় শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২০ মার্চ ধার্য করেন আদালত।
তাজরিন ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক একেএম মহসিনুজ্জামান খান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তাজরীনের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
চার্জশিটভূক্ত আসামিদের মধ্যে পলাতক ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ও চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার। আরও পলাতক রয়েছেন- প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহীদুজ্জামান, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু ও ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক।
চার্জশিটে বাকি যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিন, স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন এবং লোডার শামীম মিয়া। এর মধ্যে আনিসুর রহমান আটক রয়েছেন। বাকি ৬ জন জামিনে রয়েছেন।
গত ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরিন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১১২ জন নিহত এবং দুই শতাধিক শ্রমিক আহত ও দগ্ধ হন।
পরদিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম একটি মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪(ক) ধারা অনুযায়ী ‘অপরাধজনক নরহত্যা’ ও ‘অবহেলার কারণে মৃত্যুর’ অভিযোগ আনা হয়। যার প্রথমটিতে তদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দ্বিতীয় ধারায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছর জেল হতে পারে।