‘ক্যাঙ্গারু’ পারভেজের সন্ধান চাইলেন শামীম ওসমান
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তার প্রধান সহযোগী জহিরুল ইসলাম পারভেজ ওরফে ক্যাঙ্গারু পারভেজের সন্ধান চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক সম্পূরক প্রশ্নে যুবলীগ নেতা পারভেজের খোঁজ চান নারায়ণগঞ্জের এই সাংসদ।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, “যুবলীগ নেতা পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। তার স্ত্রী-সন্তান আমার কাছে এসে জানতে চায় পারভেজ কোথায়। আমি উত্তর দিতে পারি না।”
গত বছরের ৬ জুলাই রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পারভেজ নিখোঁজ হন বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
পারভেজ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন।
নারায়ণগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা রফিউর রাব্বির ছেলে তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী গত ৬ মার্চ বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যার একটি খালে তার লাশ পাওয়া যায়। সে রাতেই সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন রাব্বি।
এরপর ১৮ মার্চ শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান, যুবলীগ নেতা পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগসহ সভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাতকে দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারকে একটি অবগতিপত্র দেন তিনি।
জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া পারভেজ নগরীর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ঘটনায় জেলা পুলিশকে ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বীর দেয়া তালিকার তিন নম্বর ব্যক্তি।
রাব্বির অভিযোগ, আজমেরির অফিসেই ত্বকীকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। এই ‘টর্চার সেলে’ ত্বকী ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ধরে এনে নির্যাতনের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা চাঁদা আদায় করা হতো।
ত্বকী হত্যা মামলা প্রথমে পুলিশের হাতে থাকলেও পরে আদালতের আদেশে তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়। এর পর র্যাবের অভিযানে আজমেরি ওসমানের কার্যালয় থেকে একটি রক্তমাখা প্যান্ট উদ্ধার হয়।
গত ২৮ এপ্রিল চাষাঢ়া শহীদ মিনারে ত্বকী মঞ্চের একটি অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় জনতা তাকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
এরপর পারভেজকে জেলা যুবলীগের কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
ক্যাঙ্গারু পারভেজ নিখোঁজ হওয়ার পর শামীম ওসমানের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ক্যাঙ্গারু পারভেজের সন্ধানের দাবিতে সমাবেশ হয়।
সেখানে পারভেজের স্ত্রী সোহানা দাবি করেন, মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও রফিউর রাব্বি পারভেজকে গুম করিয়েছেন। শহীদ মিনারে সাঁটা তানভীর মোহাম্মদ ত্বকীর ছবি ছিঁড়ে পারভেজের ছবিও সেঁটে দিয়েছিল শামীম ওসমানের ক্যাডাররা।
এছাড়া ২০০১ সালে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে কি না সংসদে তা জানতে চান শামীম ওসমান।
জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি নোট নিলাম, দেখবো।”