সুপার টেনে মুশফিকের ভালো খেলার প্রত্যয়

mushfiqur Rahim মুশফিকুর রহিমস্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সুপার টেনে গেলেও হংকংয়ের কাছে হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মাথা নিচু করেই এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। তবে হেরেও যেহেতু বাংলাদেশ সুপার টেনে গেছে, তাই তার অনুভূতিটা হলো মিশ্র।

যদিও মুশফিক জানালেন তার সেই অনুভূতিতে হতাশাই বেশি, ‘সুপার টেনে যাই বা সুপার এইটে যেখানেই যাই না কেন, অবশ্যই অনেক খারাপ একটা অনুভূতি। ভালো লাগার চেয়ে খারাপ লাগাটাই বেশি। কারণ যতই খারাপ খেলি, এত খারাপ ব্যাটিং তো কখনোই আশা করা যায় না। অন্তত বাংলাদেশ দলের কাছ থেকে।’

চরম ব্যর্থতার ব্যাটিং লজ্জাজনক হার ডেকে এনেছে। এর মধ্যেও ইতিবাচক ব্যাপার দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘ইতিবাচক ব্যাপার হলো এর পরও আমরা সুপার টেনে উঠেছি। যেখানে আরো অনেক শক্তিশালী দল আছে।’

২৫ মার্চ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার টেন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন তারা। ওই পর্বে সবাই প্রবল প্রতিপক্ষ। প্রথম পর্বে নেপাল, হংকংয়ের সামনে বাংলাদেশও যেমন পরাক্রমশালী দলের মর্যাদা পেয়ে এসেছে। কিন্তু আরো বেশি অনিশ্চিত ক্রিকেটীয় চরিত্রের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হংকং জিততে পারলে সুপার টেনে বাংলাদেশ কেন নয়?

মুশফিক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সে কথাই যেন বলতে চাইলেন, ‘খেয়াল করলে দেখবেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যে কেউ যে কাউকে একদিন হারিয়ে দিতে পারে। প্রথম রাউন্ডেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সেদিক থেকে সুপার টেনের চারটি বড় দলের যে কারও বিপক্ষে ভালো খেলে জেতার সুযোগ আমাদেরও আছে। প্রথম দুটো ম্যাচ আমরা যেভাবে খেলেছি, সেভাবে খেললে আমরা যেকোনো দলকে হারিয়ে দিতে পারি।’

কিন্তু এই হার কি সুপার টেনের আগে আশঙ্কারও নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক যা বললেন, তা কারো কাছে বিস্ময়কর মনে হয়ে থাকলেও দোষ দেওয়া যাবে না!

তার নিজের মুখ থেকেই জবাবটা শুনে নেওয়া যাক, ‘আশঙ্কার অবশ্যই। তবে একটা ভালো দিকও থাকতে পারে। এই তিনটা ম্যাচই সহজে জিতে সুপার টেনে গেলে কিছু ঘাটতি থেকে যেত আমাদের। এর আগে সবাই ব্যাটিংয়ের সুযোগই পায়নি। আগের দুটো ম্যাচে ওপরের দিকের তিন-চারজন ব্যাটসম্যানই খেলা শেষ করে এসেছেন। রান না করলেও আজ সবার একটু অনুশীলন তো হলো। আমি তাই মনে করি, একদিক থেকে খারাপও হয়নি। এখন সবাই বুঝতে পারবে আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

বিপরীতে বাংলাদেশকে হারানোটা হারিয়ে হংকং অধিনায়ক জেমি অ্যাটকিনসনের প্রায় প্রতিটা কথায় ঝরে পড়ছিল উচ্ছ্বাস, ‘বাংলাদেশকে তাঁদের মাটিতে নিজেদের দর্শকের সামনে হারিয়ে আমি তো আনন্দে আÍহারা। এমন কিছু করাই সহযোগী সদস্য দেশগুলোর স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন আজ সত্যি হলো। খেলোয়াড়দের সবাইকে নিয়ে আমি খুব গর্বিত।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ