ক্র্যাব সেক্রেটারির গ্রামের বাড়িতে যৌথবাহিনীর তল্লাশি
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বাংলাদেল ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা আবু সালেহ আকনের ঝালকাঠীর রাজাপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে যৌথবাহিনী।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজাপুর গোড়স্থান রোডের বাসায় সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে এমন কথা বলে এই অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।
আবু সালেহ আকন এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, গ্রামের বাড়িতে আমার স্কুল মাস্টার বাবা, গৃহিনী মা এবং অনার্স পড়ুয়া ছোট ভাই থাকেন। আজ যৌথবাহিনীর এমন অভিযানে আমি এবং আমার পরিবার আতঙ্কিত।
রাজাপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, সকালে ঝালকাঠি থেকে যৌথবাহিনীর একটি দল থানায় এসে আমাকে জানায়, সালেহ আকনের বাড়িতে সন্ত্রাসী রয়েছে, তাদের কাছে এমন তথ্য রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে বাড়িতে তল্লাশি করতে হবে। আমি তাদের জানিয়েছিলাম, ওই বাড়িতে কোনো সন্ত্রাসী নেই। তারপরও তারা তল্লাশি চালায়। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মজিদ এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, বিভিন্ন তথ্যর ভিত্তিতে যৌথবাহিনী জেলাজুড়ে অভিযান চালায়। হয়তো কোনো তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছিলে। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
ক্র্যাবের বিবৃতি : শুক্রবার বিকেলে ক্র্যাব সভাপতি আখতারুজ্জমান লাবলু এক বিবৃতিতে বলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের গ্রামের বাড়িতে তল্লাশির নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য অংশ নিয়ে অভিযান চালায়। এতে এলাকায় এক ভীতির সঞ্চার হয়। একজন সাংবাদিকের বাড়িতে এভাবে পুলিশি অভিযান আইনের শাসনের পরিপন্থী। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ডিআরইউ উদ্বেগ: ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সদস্য এবং দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার বিশেষ সংবাদদাতা (ক্রাইম চিফ) আবু সালেহ আকনের ঝালকাঠীর রাজাপুরের বাড়িতে তল্লাশির নামে পুলিশি অভিযান চালানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিআরইউ।
সংগঠনের সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আবু সালেহ আকনের গ্রামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় অভিযান চালায়। এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক ও নিন্দনীয়। স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী। নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটার আশা ব্যক্ত করেন।