মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে হবে: ড. মিজানুর

mejanur মিজানুরসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ড. মিজানুর রহমান।

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।

ড. মিজানুর বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্র ৫ জানুয়ারির পূর্বে অক্টোবর এবং নভেম্বরে যে নির্যাতন সংঘটিত হয়েছে, যে তাণ্ডব ও ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে, মানুষের নিরাপত্তা যেভাবে বিঘ্নিত হয়েছে, তার নিরাপত্তা বিধান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

একটি ছবির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই ছোট্ট শিশুর চোখের জলের কী জবাব দেব আমরা।

তিনি বলেন, সরকার ও প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, আমরা মানবাধিকার কমিশন থেকে যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছি। তখন দেখেছি, সংখ্যালঘু বাড়িতে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হাতে গোনা কয়েকজনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হলেও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে কয়েকশ’ বা কয়েক হাজার।

এটা দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য নয়, করা হয়েছে ব্যবসা করার জন্য। মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে এ ধরনের ব্যবসা বন্ধ করারও আহ্বান জানান ড. মিজানুর।

পরে ড. মিজানুরকে ইঙ্গিত করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ওনাদের মতো বুদ্ধিজীবীরা বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই কাজ করছেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “হামলার সঙ্গে কারা জড়িত এটা সবার কাছে স্পষ্ট। এইখানে একজন বক্তব্য দিয়ে চলে গেলেন, কিন্তু যারা সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বললেন না। কেন বললেন না? কারণ এরা হলো সেই শক্তির বংশদলীয় ও তাদের ধারক। এরা তাদের খরচ যোগায়।

‘এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে শুধু মাঠ গরম করা যায়’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও বাহাত্তরের সংবিধান প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেন, এখানে একজন মন্ত্রীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের নামটি পর্যন্ত উল্লেখ করলেন না। এখানে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের বুদ্ধিজীবীদের পার্থক্য রয়েছে। তারা স্পষ্ট করে কথা বলেন না, কিন্তু প্রকারান্তরে সেটা বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই যায়।

সরকার সংখ্যালঘু হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনবে বলেও আশ্বস্ত করেন তোফায়েল আহমেদ।

এর আগে বেলুন উড়িয়ে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত বীরউত্তম।

পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কানুতোষ মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ