ভারতের টার্গেট ১৩১ রান
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি,ঢাকাঃ পাকিস্তান-ভারত মানেই আক্রমণাত্মক খেলা। ৩০ ছক্কার নেদারল্যান্ডস-আয়ারল্যান্ডের জমজমাট ম্যাচের পর শুরু পাক-ভারত দ্বৈরথ। উত্তেজনার পারদ চড়চড়িয়ে উপরে উঠেছিল তাই। কিন্তু শুরুতেই ম্যাচটা হয়ে পড়ে পানসে! প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে যে মাত্র ৫০ রান করেছিল টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান। বুঝতেই পারছেন টি-টোয়েন্টির ছিঁটেফোটা ছিল না তাদের ব্যাটিংয়ে। তবে এরপর থেকেই পাল্টা আক্রমণ শুরু উমর আকমল ও শোয়েব মালিকের। পরের ৫ ওভারে এই দুজন এনে দেন ৪৬ রান। ভারতীয় স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এই গতিটা শেষ দিকে ধরে রাখতে পারেনি তারা। তবে মোহাম্মদ সামির শেষ ওভারে ১৫ রান নিয়ে শোয়েব মাকসুদ স্কোরটা পৌঁছে দেন ৭ উইকেটে ১৩০। জিততে হলে তাই ভারতকে করতে হবে ১৩১ রান।
হাতে উইকেট থাকলেও ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেটা কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান। ১৬তম ওভারে তাদের স্কোর ছিল ১০০। ১৮ ওভারে সেটা দাঁড়ায় ১০৪! অর্থাৎ ২ ওভারে মাত্র ৪ রান। এশিয়া কাপের খুনে মেজাজের আফ্রিদিকে পাওয়া যায়নি এই ম্যাচে। ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে রায়নাকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি।
অশ্বীনের তৃতীয় বলটা বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে রানের খাতা খুলেছিলেন কামরান আকমল। তবে শুরুটা ঝড়ের গতিতে হলেও পাওয়ার প্লেতে সেটা ধরে রাখতে পারেনি পাকিস্তান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে স্কোরটা দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৩৪ রান। ৫ রানে থাকা হাফিজের ক্যাচ যুবরাজ সিং না ছাড়লে ২ উইকেটও হারাতে পারত পাকিস্তান। তবে জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মোহাম্মদ হাফিজ। ২২ বলে ১৫ করে জাদেজার বল তুলে মারতে গিয়ে ভূবনেশ্বরকে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে ২২ করে অমিত মিশ্রর বলে স্টাম্পিং হন আহমেদ শেহজাদ। এর আগে ২ বাউন্ডারিতে ৮ করা কামরান আকমল হিয়েছিলেন রান আউট। তিনি দলে ফিরেছেন প্রায় এক বছর বাদে। ২ বাউন্ডারিতে ৮ রান করে দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হন আকমল। সিঙ্গেলস নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝিতে ভুবনেশ্বরের থ্রোতে রান আউট হন তিনি।
কামরান না পারলেও মালিককে নিয়ে পাল্টা আঘাত শুরু করেন তার ভাই উমর আকমল। তবে রানের গতিটা বাড়াতে গিয়ে অমিত মিশ্রর করা ১৬তম ওভারে লংঅফে সুরেশ রায়নাকে ক্যাচ দেন মালিক (১৮)। একই ভাবে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন উমর আকমলও। সামিকে তুলে মারতে গিয়ে সেই রায়ংনার হাতে ধরা পড়েন তিনি (৩০ বলে ৩৩)। শোয়েব মাকসুদ করেন ২০ রান।
অসম্ভব স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যে কার মগজাস্ত্র লক্ষ্যে কত অভ্রান্ত থাকে, ঐতিহাসিক ভাবে তারই পরীক্ষা নিয়ে এসেছে পাক-ভারত ম্যাচ। নিবে আজও। এশিয়া কাপে শহীদ আফ্রিদির শেষ ওভারের জোড়া ছক্কায় হাতে থাকা ম্যাচ মুঠো গলে বেড়িয়ে গিয়েছিল ভারতের। তবে আফ্রিদি এক ম্যাচের শাহেনশাহ হয়ে থাকতে চান না নিশ্চিতভাবে। আজও ব্যাটে ঝড় তুলতে মুখিয়ে তিনি। তবে একটা রেকর্ড পক্ষে নেই আফ্রিদির। বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার ০ রানে আউট হয়েছেন তিনি! এবার অবশ্য রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। তবে আউট হন মাত্র ৮ করে।