মধ্যরাতেই ৩০ কেন্দ্রের ভোট শেষ হয়ে গেছে বরুরায়
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, কুমিল্লাঃ ব্যালট বই ছিনিয়ে নিয়ে মধ্যরাতেই বেশিরভাগ ভোট বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের কর্মীরা।
অভিনভ এ ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার বরুরা উপজেলার নির্বাচনে। উপজেলার অন্তত ৩০টি কেন্দ্রে এমন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ভোরে কেন্দ্রে ভোটাররা জড়ো হলেও তাদের ভোট নেয়া হচ্ছে না বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে। ফলে ভোট দিতে এসে নিরাশ হয়ে ফিরে গেছেন অনেকে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাজহারুল ইসলামকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
উপজেলার পূর্বনলূয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রাত ৩টায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের কর্মীরা। পরে প্রিসাইডিং অফিসার ফখরুদ্দিনকে মারধর করে তার কাছ থেকে ৮টি ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়। ওই আটটি বইয়ের ৮০০ ব্যালট পেপারের মধ্য রাতেই সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। ওই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে পূর্ব নলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৮০০ ব্যালটে সিল মারা রয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন জানান, বেশ কিছু লোক রাত ১২টা থেকে দুইটার মধ্যে দুই দফা এসে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীর আনারস প্রতীকে সিল মারে।
সকাল নয়টা ২০ মিনিটে উপজেলার বাগমারা পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক হাজার ২০০ ব্যালট পেপার নেই। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোপাল কৃষ্ণ চক্রবর্তী বলেন, গত রাতে তাঁকে জিম্মি করে চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক হাজার ২০০ ব্যালট পেপার নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল খালেক চৌধুরী বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার লোকজন রাতের বেলায় ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরেছে। উপজেলার ৮৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ৩০টিতে এভাবে ভোট ডাকাতি করেছেন আ’লীগের প্রার্থী।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে, রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাজহারুল ইসলামকে খুসবাস উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
কেন্দ্রে নাশকতা চালাতে পারে—এমন আশঙ্কায় তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম কাওসার চৌধুরী।